সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

শাহজাদপুরে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহি বাউত উৎসব-ভোরের কণ্ঠ।

মোঃ জহুরুল ইসলাম,শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে করতোয়া নদীতে ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসবে মেতে উঠেছেন সৌখিন মৎস্য শিকারীরা।শনিবার সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত মাছ শিকারে মেতে ওঠে অপেশাদার মাছ শিকারিরা।

উৎসব আমেজে দেশীয় প্রজাতির মাছ যেমন কৈ, বোয়াল, শোল, গুজা, চিতল, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে আনন্দে বাড়ি ফেরেন তারা।

এভাবেই একের পর এক নদীতে মাছ শিকারে মেতে থাকবে শৌখিন মৎস্য শিকারীরা। করতোয়া, ফুলঝোড়, হুরাসাগর, গোহালা নদী বেষ্টিত শাহজাদপুর এবং চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিল ঝিলের মাছ শিকার করা এলাকার অপেশাদার ও শৌখিন মাছ শিকারিদের রেওয়াজ হয়ে উঠেছে ।

বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে নদী-নালার পানি যখন কমে যায় তখন একটি দিন নির্ধারন করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শৌখিন মাছ শিকারিরা সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন।

মূলত শাহজাদপুরের বিভিন্ন নদনদীতে দেশীয় মাছের প্রাচুর্যের কারণেই বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকার করতে আসা লোকজন জমিয়ে তোলে মাছ শিকারের ক্ষেত্রগুলো।

মাছ শিকারের এ উৎসবই স্থানীয়ভাবে লোকজনের কাছে পলো বা বাউত উৎসব নামে পরিচিসুদূর অতীতে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরেই বিশেষ করে অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে বা শীতের কোনো এক সকালে বিভিন্ন জলাশয়ে দলবদ্ধ হয়ে গ্রাম বা এলাকাবাসী ছেলেমেয়েদের নিয়ে মাছ শিকার করতে যেতেন। মূলত একটি জলাশয়ে যখন গ্রামের কিংবা এলাকার শত শত লোকজন একই সঙ্গে একই স্থানে মাছ শিকারে নেমে পড়েন, তখন জলাশয়ের জল ঘোলা হয়ে যেত। আর এতে করে ওই জলাশয়ে থাকা মাছগুলো জেগে উঠত। আর তখনই মাছ শিকারিরা মনের আনন্দে মাছ শিকার করে খালই বা পাতিলে ভরে বাড়িতে ফিরতেন। এই ছিল বাউত বা পলো উৎসবের আনন্দ।

পলো উৎসবের জৌলুস আর আগের মতো নেই বললেই চলে। ‘মাছ পাওয়া যাক আর না যাক বাউত বা পলো উৎসব এ অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। তবে বাউত উৎসব বর্তমান সময়ে আগের মতো সংখ্যায় বেশি না হলেও অতীত-ঐতিহ্য হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। এখনো শাহজাদপুরের বিভিন্ন নদনদীতে পলো উৎসব চোখে পড়ে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ধ্বনিত হয় মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহি কলরব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর