পুলিশ হেফাজতে কলেজ ছাত্রকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন-ভোরের কণ্ঠ।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের খারুয়াজংলা গ্রামের কলেজছাত্র আবু সালেক বিশ্বাস (২৭)কে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের প্রতিবাদে এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছে।

শনিবার (৮মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাড়াবিল নতুনবাজার সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ মানববন্ধন চলাকালে কায়েমপুর ইউনিয়নের সদস্য সাবেক মেম্বার খোকা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, মো: রশিদ প্রামাণিক, মো: ওহেদ প্রামাণিক, মো: আতাহার প্রামাণিক, মো: আব্দুল মতিন বিশ্বাস, মো: ফরজ আলী বিশ্বাস, রহম বিশ্বাস,পল্লী চিকিৎসক মো: করিম মিয়া প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে খারুয়াজংলা গ্রাামের মৃত মজিবুর রহমানের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের(৪৫) সাথে পারিবারিক কলোহের জের ধরে শাহজাদপুর থানার এসআই সাদেক ওই গ্রামের কয়েকজনকে আটক করে। এরমধ্যে ওই গ্রামের নজরুল বিশ্বাসের স্ত্রী মোছা: কুলসান খাতুন(৩০) নামের নিরাপরাধ এক নারীকেও পুলিশ আটক করে।

এ সময় শাহজাদপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্র আবু সালেক বিশ্বাস এর প্রতিবাদ করে ও ওই নারীকে ছেড়ে দিতে পুলিশের কাছে অনুরোধ করে। এতে এসআই সাদেক ক্ষুব্ধ হয়ে আবু সালেকের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এসআই সাদেক কুলসান খাতুনকে ছেড়ে দিয়ে আবু সালেক বিশ্বাসকে আটক করে থানায় নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন ও মারধর করে। শুধু তাই নয় ফিরোজা বেগমের দায়ের করা মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামী দেখিয়ে আবু সালেককে পরদিন শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসি এ দিন এ ঘটনার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার এসআই সাদেক বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আরো ফোর্স চেয়ে পাঠায়। আমি ওই সময় ডিউটিতে থাকায় ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাই। থানায় নিয়ে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি। তাদের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, আবু সালেক বিশ্বাস খারুয়াজংলা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের বিধবা স্ত্রী ফিরোজা বেগমের দায়ের করা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আবু সালেক বিশ্বাস আজ শনিবার আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই বিধবা ফিরোজা বেগমের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ফিরোজা বেগম এ দিন দুপুরে থানায় হাজির হয়ে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।

তিনি নির্যাতনের বিষয়ে বলেন থানায় এনে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *