সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পাটবন্দর-সলপ রেলওয়ে স্টেশন আঞ্চলিক সড়কের মাঝে করতোয়া নদীতে বেতবাড়ী পূর্ব সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনিটি এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপরের চালের টিনগুলো ফুটো হয়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে চারপাশের দেয়াল ও টিনের বেড়া।
ফলে বৃষ্টির দিনে ছাউনির ভিতর পানি পড়ে। এতে সেখানে দাঁড়াতে পারে না খেয়াঘাটে পারাপার হওয়া লোকজন। যাত্রী ছাউনির নিচের হাফ ওয়ালও নস্ট হয়ে গেছে। ফলে এই ছাউনিটি এখন এলাকার মানুষের কোন উপকারে আসছে না।
এই পথে চলাচলকারী স্থানীয়রা জানান, খেয়াঘাটে বিশেষ করে বর্ষা বৃষ্টির দিনে পারাপার হওয়া লোকজনের অপেক্ষার জন্য কোন ছাউনি ছিল না। চরম ভোগান্তি সইতে হয়েছে এই পথের যাত্রীদেরকে।
এই খেয়াঘাট পার হয়ে প্রতিনিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী উপজেলা শহরে অবস্থিত সরকারি আকবর আলী কলেজ, উল্লাপাড়া মার্চেন্টস পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ, এইচ টি ইমাম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুল, উল্লাপাড়া কালিম মাদ্রাসা, এইচ টি ইমাম ডিগ্রি কলেজ, উল্লাপাড়া সানফ্লাওয়ার স্কলে লেখাপাড়া করে থাকে।
বছর সাতেক আগে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এখানে ছোট আকারের একটি যাত্রী ছাউনি তৈরি করা হয়।কিন্ত সেসময় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এটি তৈরি করায় অল্প কয়েক বছরের মধ্যে ছাউনিটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই খেয়াঘাটের গুরুত্ব অনুযায়ী এখানে বড় আকারের একটি যাত্রী ছাউনি তৈরি করা প্রয়োজন।
এই যাত্রী ছাউনির পাশে একটি বটগাছ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি বটগাছের চারিদিকে ইট দিয়ে বেঁধে দিলে এখানেও অনেক পারাপারের অপেক্ষমান লোকজন বসার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, বেতবাড়ী পূর্ব সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাটে বড় আকারের একটি যাত্রী ছাউনি তৈরি করা প্রয়োজন।খুব দ্রুত এ ব্যাপারে একটি প্রকল্প তৈরি করে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠাবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান ভুইয়া জানান, উক্ত খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনির বেহাল অবস্থার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে এই ছাউনি যথাযথভাবে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বসার জন্য বটগাছের গোড়ায় ইট দিয়ে বেঁধে দেওয়া হবে।