শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে কঠোর নিষেধাজ্ঞার সত্বেও রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট খোলা।

মোঃ সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি। / ৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১

লক্ষ্মীপুরে কঠোর নিষেধাজ্ঞার সত্ত্বেও হোটেল-রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট খোলা রয়েছে এমনকি বিভিন্ন প্রাইভেট কোচিং এ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় যাতায়াত করছে। কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর সময় নূন্যতম স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। এই নিয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি লক্ষ্য করা যায়নি।

জেলা সদরের উত্তর ইস্টিশন দক্ষিণ স্টেশন ঝুমুর কিছুটা পুলিশের দায়িত্ব পালন করা দেখা গেলেও বাকি স্থানগুলোতে বাস ব্যতীত সকল ধরনের যানবাহন আগের মতই চলাচল করতে দেখা যায়। সিএনজি অটোরিকশা রিক্সায় যাত্রী বোঝাই করে চলছে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি।এমন চিত্র লক্ষ্মীপুরসহ পাঁচটি উপজেলায় দেখা গেছে।

লকডাউন থাকা সত্ত্বেও খোলা রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট শিক্ষকদের বাসা-বাড়ি থেকে ব্যাগ কাঁধে বের হতে দেখা গেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, চকবাজারসহ শহরের বিভিন্ন স্থান, রায়পুর শহরের মার্চ্চেন্টস একাডেমি, মহিলা কলেজের সামনে, গাজি কমপ্লেক্স, বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে ও উপজেলা পরিষদের পাশে মীরগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত দোকানপাট খোলা ও ব্যাগ কাঁধে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখা যায়। তবে প্রাইভেট শিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে আসায় শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধ দেখা গেছে।

রিকশা ব্যতীত অন্যান্য যান চলাচলে নিষেধ থাকলেও ব্যাটারি চালিত ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। বাজারে আসা জনসাধারণে মুখে মাস্ক ব্যবহার বেড়েছে।

এদিকে-জেলা শহরের চক বাজার-রায়পুরের প্রধান সড়কসহ পুরো শহরেরে পোশাক বিতানগুলো খোলা দেখা গেছে। ম্যাজিষ্ট্রেট আসতেই দোকানের সার্টার নামিয়ে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি দোকানে দেখা যায়, অর্ধেক সার্টার নামিয়ে,দোকানের ভিতরে ক্রেতাদের ডুকিয়ে বিক্রেতারা বেচাকেনাতে ব্যস্ত। ক্রেতাদেরও উপস্থিতিও সরব।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানা যায়,বুধবার(৩০ জুন) ফলাফলে ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আনোয়ার হুছাইন আকন্দ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, পণ্যবাহী পরিবহন ও রিকশা ব্যতীত সকল গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। শপিংমল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরা সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে খাবার অর্ডার দিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর