সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ ক’জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের তাতুয়াহাটা গ্রামে এ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।মারপিট চলাকালিন সময়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাজিপুর থানা পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে তাতুয়াহাটা গ্রামের মৃত কলিমুদ্দির ছেলে আবু সাইদ ও ওদরুর সাথে তাদের বড় ভাইয়ের ছেলে কামরুল ইসলাম লিটন পূর্বে থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির আঙ্গিনা দিয়ে আবু সাইদের ছোট মেয়ে হেঁটে যেতে চাইলে লিটনের ভাই নান্নু বাধা দেয়। এতে করে মেয়েটি কান্না শুরু করলে আবু সাইদ ঘর থেকে বের হয়ে আসা মাত্রই উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে লিটন পক্ষের লোকজন পাঁচগাছি গ্রামের তাদের আত্মীয়দের খবর দেয়।
এসময় ওই গ্রামের আত্মীয় স্বজন লিটনদের পক্ষ নিয়ে জহির উদ্দির ছেলে বুজুর আলী, ফোরহাদ হোসেন,নুরু মিয়াসহ অন্যরা বাড়ির আঙ্গিনায় আসামাত্র প্রথমে ওই ছোট নাবিলাকা মেয়েটিকে আঘাত করে। বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে প্রতিপক্ষের আঘাতে আবু সাইদ, তার স্ত্রী রফেলা, ছোট ভাই ওদু, তার মেয়ে আসমা, মিঠুর স্ত্রী আশিক নুরী মারপিট করে।এ ঘটনায় ৫ জনকে আহত হয়। এসময় লিটনদের পক্ষ নিয়ে মারপিট করতে আসা বুজুর ও লিটনের ভাই নান্নু আহত হয়।
লিটন জানান, ওরা আমাদের আগে মারপিট করেছে । আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে আবু সাইদ জানান, ফুপুদের নিকট থেকে সবার অজান্তে জমি লিখে নিয়েছে ওরা। আর এখন বাড়ির উপর দিয়ে হাঁটতেও দিচ্ছে না। আজকে ওরা ভাড়া করে লোক এনে আমাদের মারপিট করে।ওদু জানান, বুজুর নিজের মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে গেছে। পুলিশ না এলে আমাদের ওরা বের হতে দিতো না। আমরা আতঙ্কে আছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষই চিকিৎসা হাসপাতালে গেছে বলে জানা গেছে।
সোনামুখী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পাচঁগাছি গ্রামের নুরুল ইসলাম মাস্টার জানান, ওরা উভয় পক্ষই আপন চাচা-ভাতিজা।পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হবে। এ পর্যন্ত সবাইকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।