শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন

খানখানাপুর বাজারে কেউ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি সচেতন মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন।

মোঃ রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি। / ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর বাজারে বেশিরভাগ মানুষ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি উপছে পড়া জনতার ভীর চলছে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন।

বিশেষ করে কাঁচা বাজারগুলোতে মানুষ গাদাগাদি করে বেচাকেনায় ব্যস্ত সরকারের বেধে দেওয়া সময়,স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার কোন বালাই তাদের মধ্যে নেই।ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে মাস্ক ছাড়াই বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। অনেকের মাস্ক থাকলেও ব্যবহারে উদাসীন।

সরেজমিনে খানখানাপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি, মাছ, মুদি, ফল বিক্রেতাসহ অধিকাংশ দোকান মালিকরাই মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।

ক্রেতাদের কারোর মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগ বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। অনেকের মুখে মাস্ক পরলেও থোতার নিচে নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে৷ এছাড়া বাজারে চায়ের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্বের কোন বালাই নেই।

এ বিষয়ে বাজারের এক মুদির দোকানি জানান, লকডাউনের খবরে মানুষ গত দুই দিন মানুষ আখেরি কেনাকাটা করেছে। তবে আজকে অনেকটাই কম। ক্রেতাকে বলেও স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায় না,কার আগে কে সদাই নেবে প্রতিযোগিতায় সবকিছু ভুলে যায়। যদিও বলা হয় দূরত্ব বজায় রাখতে কিন্তু এতে কোনো লাভ হয় না।

আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। তখন পাশের দোকানগুলোর সমস্যা হয়। আমি মাস্ক না পরলে বলি ভাই মাস্কটা পরে পণ্য নেন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হলে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে।

বাজারের মুদির দোকান মালিক ছালাম সেখ জানান, কাজের সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মানানো অনেকটাই কঠিন। নিজে সচেতন না হলে এটা সম্ভব না। এতে পেঁয়াজ, আদা, আলু ও চালের দাম বেড়ে গেছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ক্রেতা নাজমুল হাসান জানান, আমি প্রতিদিন সকলে কাঁচা বাজার করি। আজকে বাজারে ভালোই ভিড় । কিন্তু গত দুইদিনেও মানুষ প্রচুর কেনাকাটা করেছে। ফলে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে গেছে৷ ভিড় থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অনেকেই। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না ও সামাজিক দুরত্বও বজায় রাখছে না। সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো সাধারণ মানুষ এভাবেই চলবে। করোনা বাড়লেও অনেকের সংক্রমণের ভয় নেই। চায়ের দোকানগুলোতে অযথা আড্ডা বন্ধ করতে হবে।

এদিকে লকডাউনে বাজারে বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিন আগের ১৮ থেকে ২০ টাকায় যে আলু বিক্রি হতো এখন সেই আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে। ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, ৬০ টাকা কেজির আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে সব ধরনের চালের। বিক্রেতারা প্রতিকেজি চালে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি নিচ্ছেন। পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিম ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা হালি।

এ বিষয়ে খানখানাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম লাল বলেন আমরা জনগণকে সর্বক্ষণ মাইকিং করে বলে দিচ্ছি ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করবেন অযথা ঘরের বাইরে বের হবেন না।আমরা সর্বক্ষণ মাঠে কাজ করছি এবং এই কাজ অব্যাহত থাকবে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর