শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলায় শিক্ষার্থী আছে বিদ্যালয় নদীর গর্ভে।

রিপোটারের / ২৯৯ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি মেঘনা নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে। চোখের সামনেই ২০ জুন ভবনটি নদীর পেটে যায়।

এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল। প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় পর রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) খুলছে এসব প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ভবন না থাকায় কোথায় যাবে চরবালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা- এ নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চরবালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই তলা বিশিষ্ট ভবন করা হয়। করোনার আগে এ বিদ্যালয়ে ২৫২ শিক্ষার্থী ছিল। নদীর ভাঙনের কারণে ২০ জুন বিদ্যালয় ভবনটি পুরোপুরি তলিয়ে যায়। এর আগে কয়েকদিন ধরে তা ভাঙছিল। চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ও জবির জানায়, তারা আগের দিন গিয়ে ভেঙে যাওয়া অবস্থায় স্কুলটি দেখেছে। পরদিন সকালে গিয়ে দেখে, সেখানে কিছুই নেই। নদী আর নদী। তখন তারা সবাই মিলে অনেক কান্নাকাটি করেছে।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রছাত্রী আছে শুধু আমাদের স্কুলটি নেই। এ কথা ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যায়। রোববার আপাতত আমরা পাশের একটি মক্তবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করবো। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যে মক্তবে এখন ক্লাস হবে, সেটিও নদী থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে এ ঠিকানাও হয়তো আমাদেরকে হারাতে হবে। এছাড়া লোকজন ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীও কমে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান বলেন, নদীতে ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আপাতত পাশের একটি মক্তবে পরিচালিত হবে। ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে আসার জন্য বলা হয়েছে।

নদী ভাঙনে কয়েকবছরে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হারিয়ে গেছে। একাধিকবার স্কুল, মাদরাসা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে পরিচালনা করলেও পরে আবার ভাঙনের কবলে পড়তে হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর