শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ।

রিপোটারের / ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করার সময় যুবলীগের ১২ নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। খোঁদ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও তার অনুসারী এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আহতরা।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার সময় পৌরসভার গণকবর ও জেলেপল্লী এলাকার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।
হামলায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর, রুপম হাওলাদার ও তাদের অনুসারী ১২ নেতাকর্মী আহত হয়। তাদেরকে সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হচ্ছে। নুরুল আজিম বাবর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনুছ হাওলাদার রুপম সদর (পূর্ব) থানা যুবলীগের প্রথম যুগ্ম আহবায়ক।এই ঘটনায় টিপু নিজেও আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ দুপুরে শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে প্রায় চার বছর পর প্রথম জেলা যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বর্ধিত সভা হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী ও সহ সম্পাদক এডভোকেট জয়নাল আবেদিন রিগ্যানসহ দলের নেতারা অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা থেকে দুপুরে রামগঞ্জ হয়ে লক্ষ্মীপুরে আসার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী। এজন্য অন্তত ১০ জন সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা প্রার্থীতা ঘোষণা করে নেতাদের শুভেচ্ছো জানিয়ে শহরে বিলবোর্ড,প্লেকার্ড, ব্যানার-ফেষ্টুন করে। তাদের বরণ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে দাড়ালে যুবলীগ সভাপতি টিপুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।

ইউনুছ হাওলাদার রুপক বলেন,টিপুর নেতৃত্বে নেশাগ্রস্থ একদল বখাটে মোটর সাইকেলে এসে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। এতে আমি ও সৈয়দ বাবরসহ নেতাকর্মীরা আহত হয়। যুবলীগকে তারা বাবার সম্পত্তি মনে করছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হয়েছে।

হাসপাতালে আহত সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর বলেন, আমি সব সময় রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। রাজনীতি করতে গিয়ে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছি। আজ কেন্দ্রীয় নেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষারত অবস্থায় টিপু-নোমান সহ তার লোকজন আমার উপর হামলা চালায়। আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, বাবরের সঙ্গে আমার বাদানুবাধ হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।

প্রসঙ্গত ২০১৭ইং সালের ২৩ নভেম্বর টিপুকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নােমানকে সাধারণ সম্পাদক করে তিনবছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর নানা বির্তকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর