সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন

রায়পুর ইসলামী ব্যাংকে এক চাবিতে খোলে দু’টি লকার, উধাও স্বর্ণালঙ্কার।

রিপোটারের / ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রায়পুর ইসলামী ব্যাংক শাখার লকার থেকে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার উধাওয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে ব্যাংক ম্যানেজার ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

বাদীর আইনজীবী মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, আদালতের বিচারক তারেক আজিজ অভিযোগটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে এফআইআর দাখিরে নির্দেশ দিয়েছেন।

এজাহার সূত্র জানায়, ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের নজির আহমেদের স্ত্রী। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক রায়পুর শাখায় তিনি একটি লকার হিসাব (হিসাব নম্বর-৬৯) খোলেন। হিসাব অনুযায়ী ১৮ নম্বর চাবি দিয়ে ১৮ নম্বর লকারে তিনি ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জমা রাখেন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে চাবি হস্তান্তর করে। লকারে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের দাম প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকে এসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিনি লকারের কক্ষে যান। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাস্টার চাবি ও বাদীর কাছে থাকা চাবি দিয়ে ১৮ নম্বর লকার খোলেন। কিন্তু লকারে কোন স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়নি। পরে একই চাবি দিয়ে ২০ নম্বর লকার খুলে স্বর্ণের বক্স বের করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বক্সের সঙ্গে থাকা স্বর্ণের ওজনের রশিদ পাওয়া যায়নি। রশিদ কোথায় ? এমন প্রশ্নে সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এতে বক্স খুলে ২টি আংটি,১ জোড়া নুপুর,১ জোড়া কানের দুল ও ১ চেইন পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে নাজমুন নাহার স্বর্ণের ওজন পরিমাপ করতে গিয়ে দেখেন ৬ ভরি স্বর্ণ কম রয়েছে। উধাও হওয়ার স্বর্ণের দাম প্রায় ৪ লাখ টাকা। ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার বলেন, আমি ১৮ নম্বর লকারে স্বর্ণ রেখেছি। কিন্তু যথাস্থানে না পেয়ে ২০ নম্বর লকার থেকে স্বর্ণের বক্স বের করে দিয়েছে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা। দুটি লকারেরই একই চাবি।

এ ব্যাপারে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অবহিত করলে, তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার স্বর্ণালংকার আত্মসাত করেছে। আমি এর সুবিচার চাই।

ব্যাংক ব্যবস্থাপক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। চার স্তরের নিরত্তাবেষ্টিত লকার থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি বা উধাও হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নাজমুন নাহার যা রেখেছেন তাই পেয়েছেন। তার অভিযোগটি সঠিক নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর