মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

কলাপাড়ায় গ্রাম পুলিশ সদস্য হয়রানির শিকার।

রিপোটারের / ৭৪৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সৈয়দ মোঃ রাসেল,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্লুইজগেট দখলমুক্ত করা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রাম পুলিশ সদস্য বাসার গাজীর। একটি মহল ক্ষিপ্ত হয়ে লালুয়া ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সদস্য আবুল বাসার’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতি পক্ষের দায়েরকৃত একের পর এক মিথ্য মামলাসহ সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে এখন মানসিকভাবে বিধ্বস্থ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। বর্তমানে এর থেকে পরিত্রান চেয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। উপজেলার লালুয়া ইউপির মঞ্জুপাড়া গ্রামের মস্তফা গাজীর পুত্র বাশার গাজী ২০১৭ সালে গ্রাম পুলিশ সদস্য হিসেবে চাকুরি পান । নিয়োগের পর থেকে কর্মক্ষেত্রে সুনামের সাথে দায়ীত্ব পালনে ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

তবে পারিবারিকভাবে জমিসংক্রান্ত কলহে মিথ্যমালায় জড়িয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে বলে অভিযোগ করেন এ গ্রাম পুলিশ সদস্য। তার দাবী,খাল দখলসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধা প্রদানেই তার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে প্রতিপক্ষরা। তিনি বলেন সর্বশেষ সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে।

যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে অসহায় মানুষকে প্রধান মন্ত্রীর দেয়া ঘরের নির্মান সামগ্রী নিয়ে আমি ঘর নির্মান করেছি। বাস্তবে আমার স্ত্রী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে সরকারী ভাবে একটি ঘর দেয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের ঘরের ইট,রট নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে,তাদের একমাস আগেই আমার স্ত্রীর ঘর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীকে দেয়া সরকারী ঘরের আকৃতি পরিবর্তন করে ঘর তোলার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা স্থানীয় চেয়ারম্যানের দেয়া সহায়তা ও নিজ অর্থায়নেই করা হয়েছে ।

এবিষয়ে সরকারী সহায়তাভুগি রাজ্জাক গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার নাম উল্লেখ করে যেসব অনলাইন পোর্টালে নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার কাছ থেকে চৌকিদার বশার কোন ইট নেয়নি। তার ঘর আমার ঘরের একমাস আগেই নির্মান করা হয়েছে। কোন সাংবাদিক লিখেছে তাও আমি জানিনা। এদিকে আবুল বাশারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুনেছি ২’শ ইট নিয়েছে তবে আমার কোন ইট বাশার চৌকিদার নেয়নি।

লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, গ্রাম পুলিশ বাশার খুব দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই।

তবে ওর স্ত্রীর ঘর নির্মানের সময় আমি তাহাকে ১ হাজার ইট দিয়ে সহায়তা করেছি। কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত আসাদুর রহমান জানান, বাসারের জমিসংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে আমরা জানতে পেরিছি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুহাসনাত মো. শহীদুল হক জানান, মূলত ওই ছেলেটা এলাকাতে ভালো কাজ করে এমন শুনাম রয়েছে।

এছাড়া লালুয়াতে বিভিন্ন সময়ে দখলকৃত স্লুইজ ওর মাধ্যমে আমরা উন্মুক্ত করেছি। সে কারনেও বাশারের বিরুদ্ধে একটা শ্রেনী অপপ্রচার চালাতে পারে। তবে বাশারের স্ত্রী প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে একটি প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর