বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন

উলিপুরে তিস্তা নদীর পানির স্রোতে নিখোঁজ এক কৃষক।

রিপোটারের / ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১

রোকন মিয়া,উলিপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ ভারত থেকে নেমে আসা পানির চাপে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়।এর ফলে নদীর পানির তীব্র স্রোতে কুড়িগ্রামের উলিপুরের বদিয়াজ্জামান নামে এক কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন।

বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর এলাকায় সাঁতার কেটে নদী পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিখোঁজ বদিয়াজ্জামান উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের নগরপাড়ার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুরে থেতরাই ইউনিয়নের দড়ি কিশোরপুর এলাকায় সাঁতার কেটে নদী পার হচ্ছিলেন বদিয়াজ্জামান। এ সময় প্রবল স্রোতের তোড়ে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। একই সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধারে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও বদিয়াজ্জামানের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ দিকে, প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত নিখোঁজের ৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ওই কৃষকের কোনো সন্ধান মেলেনি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃআইয়ুব আলী সরকার দৈনিক অধিকারকে তীব্র স্রোতে কৃষক নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের বরাতে তিনি বলেন,নিখোঁজ বদিয়াজ্জামান প্রতিদিনের মতো নিজের গবাদিপশুর জন্য ঘাস সংগ্রহ করতে নদী পাড় হয়ে চরাঞ্চলে যান। পরে দুপুরের দিকে ঘাসের বস্তা সাথে নিয়ে নদীতে সাঁতার কেটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

এ দিকে,সকালের পর থেকে দুপুর পর্যন্ত পানির স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঁতার কেটে নদী অতিক্রমের সময় স্রোতের তোড়ে ডুবে যান তিনি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুটি নৌকা দিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার।

এ দিকে, বিষয়টিতে উলিপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী ইনচার্জ আব্বাস আলী জানান, কৃষক নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের এখনো জানানো হয়নি।

অন্যদিকে, উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, ঘটনাটি এইমাত্র শুনলাম। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় এখনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি হঠাৎ করেই স্বাভাবিক তিস্তাকে অশান্ত করে তুলেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঝুঁকি বেড়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। এরই মধ্যে স্রোতের তোড়ে তিস্তা ব্যারেজ ভেঙে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর