রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

ঈশ্বরগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রের প্রতারনায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা।

রিপোটারের / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১

ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রের প্রতারনা সহ্য করতে না পেরে হাদিসা আক্তার পপি (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তবে সে মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন।

তাদের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে টাকার পরিমাপে মীমাংসার চেষ্টা করে। এতে ক্ষোভে রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার সময় নিজ বাড়ির টয়লেটে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী।

সে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর নামাপাড়া গ্রামের তহুর উদ্দিনের মেয়ে ও ময়মনসিংহ নগরীর মুমিনুন্নিছা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার সঙ্গে প্রতিবেশী মোনায়েম মিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড় ওঠে। মোনায়েম একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আমীর আলীর ছেলে।

মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে যায় পপি। পুলিশের মাধ্যমে হাতে পাওয়া ওই চিরকুটে লেখা ছিল,মোনায়েম তুমিই ভালো থেক। সরল মনে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু তুমি আমার ভালোবাসাটা বুঝলে না। আমি আমার এই কলঙ্কিত মুখ নিয়ে আর বেঁচে থাকতে চাই না। তোমাকে সরল মনে ভালোবেসে কী অপরাধ করেছিলাম সেটা জানি না। তুমি ভালো থেক। আমি তো তোমার কাছে আগে যাইনি, তুমিই তো আমাকে আগেই ভালোবেসেছো। আমি বুঝতে পারিনি ওটা ছিলো তোমার অভিনয়। তবুও তুমি সুখে থেক। সারাটা জীবন অনেক ভালো থেক, এটাই চাই।

চিঠিতে আরোও লেখা হয়, ‘আমি বুঝতে পারিনি, তুমি আমার সঙ্গে কেন এমন করলে। কি ক্ষতি করেছিলাম তোমার এমন, জানি না। আমি জীবন দিয়ে তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। দেহ দিয়ে নয়। তুমি শুধু আমার দেহটাই বেছে নিয়েছিলে। আমি তো তোমায় সরল মনে ভালোবেসেছিলাম।থ

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ আবদুল কাদের মিয়া ঘটনা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর