মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

স্বামীর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।

রিপোটারের / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বামীর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে রোববার সকালে জয়পুর হাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কালাই উপজেলার বিনইল গ্রামের নির্যাতিত স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী খাইরুন নেছা সুমী। এ সময় তিনি অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলেন একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, নির্যাতন ও নতুন করে আরোও মামলার ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদ এবং নিজের ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ন্যায়বিচার দাবি করেন।

ভুক্তভোগী সুমী তার লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রান্ডিলা-বাহাদুর গ্রামের রাজস্ব কর্মকর্তা জুবায়ের রহমানের সঙ্গে ১৬ লাখ টাকার দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। ওই সময় জুবায়ের বেকার অবস্থায় চাকরির সন্ধান প্রার্থী থাকায় তারা বগুড়ায় একটি সাবলেট বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

২০১৮ সালে সুমী সন্তান সম্ভাবা হলে বেকার থাকার কারণে জুবায়েরের ইচ্ছায় সে সন্তান তিনি নষ্ট করতে বাধ্য হন। সন্তান নষ্টের পর সুমী তারা বাবার বাড়ি কালাই উপজেলার বিনইল গ্রামে ফিরে আসেন এবং সেই থেকে সেখানেই বসবাস করছেন।

পরে সরকারি রাজস্ব কর্মকর্তার (কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তা) চাকরি পেয়ে জুবায়ের সুমীকে ত্যাগ করার জন্য নানা ছলচাতুরি শুরু করেন। কিন্তু ১৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য থাকায় কৌশলের আশ্রয় নিয়ে জুবায়ের সুমীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়েন।

জুবায়ের তার বাড়িতে ঘর নির্মাণে ঋণ নেওয়ার কথা বলে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসাবে সুমীকে গ্যারান্টর করার জন্য বেশকিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেন।

ঋণ নিতে সুমীর কালাই শাখার সোনালী ব্যাংকে খোলা অ্যাকাউন্টের চেক বই থেকে স্বাক্ষর করা ছয়টি চেক গোপনে চুরি করেন জুবায়ের। যা পরে কৌশল করে জুবায়ের তার ভগ্নিপতি দেলোয়ার হোসেনকে দিয়ে সুমীর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ আমালী আদালতে ১২ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের একটি মিথ্যা মামলা করেন।

একই সঙ্গে চুরি করা ওই চেক দিয়ে সুমীর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকাও তুলে আত্মসাৎ করে জুবায়ের। পরে সুমী মুসলিম পারিবারিক আইন ও মোহরানা আদায় সংক্রান্ত পৃথক দুটি মামলা করেন যা আদালতে চলমান রয়েছে।

জুবায়ের তার ভগ্নিপতিকে দিয়ে ১২ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার ছাড়াও নিজে সুমীর বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাদের মামলায় নবীর হোসেন নামে এক সাক্ষীকে বাদী করে গত ১৮ অক্টোবর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সুমীকে এক নম্বর আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ সুমীকে গ্রেফতার করলেও আদালত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর