শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

নাটোরে খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা।

রিপোটারের / ৬৮১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ প্রকৃতিতে চলে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। সকালে কুয়াশার চাদর পরে চুপটি করে থাকে সূর্য মামা। কুয়াশার চাদর সরাতেই প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পরে মিষ্টি রোদের ছোঁয়া। তার আগে থেকে গ্রামের পুকুর গুলো থেকে উঠতে থাকে অবিরত সাদা ধোঁয়া। এ সময়টায় নাটোরের বিভিন্ন গ্রামের খেঁজুরের গাছ চেছে,রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নাটোরের বিভিন্ন গ্রামের,বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,এলাকার গাছিরা ইতিমধ্যে খেঁজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করে গাছ নিয়েছেন। তারা এসব খেঁজুর গাছ কেটে রস আহরনের প্রস্তুত্তির কাজ শুরু করেছেন। যদিও আগের মত শত,শত খেঁজুর গাছের সারি আর দেখা যায় না। এরপরও যে গাছ গুলো আছে শীতের শুরুতে গাছিরা সেই গাছ গুলো প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন।

গাছিরা হাতে দা নিয়ে ও কোমরে দড়ি বেধে খেঁজুর গাছে,উঠে নিপুন হাতে গাছের ছাল তোলা নলি,বোসানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন থেকে শুরু হবে রস সংগ্রহের প্রতিযোগীতা। অগ্রহায়ণ,পৌষ,মাঘ এই তিন মাস খেঁজুর গাছ থেকে রস আহরন আর গুড় তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে হয় গাছিদের। গাছ গুলো থেকে আহরনকৃত রস নিজ বাড়িতে আগুনে জাল দিয়ে সে গুড় বা লালি তৈরী করে পরে তা বাজরে বিক্রয় করা হয়।

স্থানীয়রা বলেন,অনভিজ্ঞ গাছিরা গাছ কাটার সময় ভুল করাই,অনেক গাছ মরেও যাচ্ছে। তাই এখন আর আগের মত খেঁজুর গাছ দেখা যায় না। ফলে এক সময় খেঁজুর রসের যে সমারহ ছিল তা অধিকাংশ কমে গেছে। শীতের সকালে ছোট,বড় সকলেই রসের জন্য ভিড় জমাতো।

কালের বির্বতনে এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়েনা। শীতের সকালে গ্লাস ভরে খেঁজুরের রস পানই লোভনীয়। পুরো শীত নামার সাথে সাথেই প্রতি ঘরে খেঁজুরের পিঠা, পুলি ও পায়েশ তৈরীর ধুম পড়বে। চিড়া,মুড়ি,পিঠা খাওয়া কৃষক পরিবার থেকে শুরু করে সবার কাছে প্রিয়। শীত মৌসুম এলেই নাটোরের সর্বত্র শীত উদযাপনের নতুন আয়োজন শুরু হয়। ছবিটি মঙ্গলবার নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর থেকে তোলা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর