মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

বেলকুচিতে ধানের জমিতে পাওয়া গেলো সিল মারা ব্যালট পেপার ও রেজাল্ট সিট।

রিপোটারের / ৪৯৮ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১

সবুজ সরকার বেলকুচি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদের মোরগ প্রতিকে সিল মারা ব্যালট পেপার ও পিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত রেজাল্ট সিট ছিরে ফেলে রেখেছে ধানের জমিতে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঠাকুরপারা ভোট কেন্দ্রের পাশে ছাগল চরাতে গিয়ে ছেলেরা কুড়িয়ে পায় এই সব কাগজ। রবিবার রাতে ভোট গননা শেষে প্রথমে মোরগ প্রতিক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করে। তার আধা ঘন্টা পর আবার তালা প্রতিক প্রার্থীকে বিজয় ঘোষনা দিয়ে দ্রুত চলে যায় পিজাইডিং অফিসার। যাবার পথে পাশের ধানের জমিতে ফেলে যায় এইসব কাগজ।

মঙ্গলবার সকালে কুড়িয়ে পাওয়া এই ব্যালট পেপার ও রেজাল্ট সিট নিয়ে রিটারনিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে রাজাপুর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডের সাধারন পদে নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতার হোসেনের সহযোগিতায় কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল পরিরর্তন করে মোরগ প্রতীক নুরুল আমিনকে পরাজিত করার অবিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছেন মোরগ প্রতীক ইউপি সদস্য নুরুল আমিন।

মঙ্লবার দুপুরে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের প্রার্থীর নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোরগ প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন।

তিনি বলেন, উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে নিবার্চন সুষ্ঠ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। নিবার্চন শেষে সাধারণ আসনের সদস্য পদে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগনের ভোট গণনার বিবরনী পত্রে আব্দুল মমিন তালা প্রতীককে ৩৮৭, নুরুল ইসলাম মোরগ প্রতীকে ৬১৭ ভোট, শামছুল হক মোল্লা ফুটবল প্রতীকে ৪৮০ ও সেরাজুল ইসলাম ঘুড়ী প্রতীকে ৩৮৭ ভোট দেখানো হলেও পুনরায় তাহা জালিয়াতি করিয়া নতুন করে ভোট গণনার বিবরনীতে আব্দুল মমিন তালা প্রতীকে ৩৮৭, নুরুল আমিন মোরগ প্রতীকে ৬১৭, শামছুল হক মোল্লা ফুটবল প্রতীক কে ৪৮০ ও সেরাজুল ইসলাম ঘুড়ী প্রতীক কে ৬৫৫ ভোট দেখানো হয়েছে এবং সেরাজুল ইসলামকে জয়ী ডিকল্যারেশন দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ আসনের পদে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীগণের ভোট গণনার বিবরনী তে সঠিক ভোট গণণা করা হলে আমি ৬১৭ ভোট আসন্ন নির্বাচনে জয় লাভ করি। কিন্তু তাহা জালিয়াতি করিয়া সেরাজুল ইসলাম কে অর্থাৎ ঘুড়ি প্রতীক কে ৬৫৫ ভোটে জয় দেখানো হয়। উল্লেখ্য নির্বাচনে শেষে কিছু সংখ্যক ব্যালট পেপার ও প্রথম গণনার রেজাল্ট শিট কেন্দ্রের বাহিরে পাওয়া যায়। রেজাল্ট সিট ও ভোট গোপন করে প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আখতার হোসেন প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঠাকুরপাড়া ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতার বলেন, আমি প্রথমে যে রেজাল্ট সিট লিখেছিলাম তা ভুল হওয়ার কারনে সেটা ছিরে ফেলে দিয়ে নতুন করে রেজাল্ট সিট লিখে ঘোষনা দিয়ে চলে আসি। তবে ধানের জমিতে কি ভাবে সিল মারা ব্যালট পাওয়া গেছে তা আমার জানা নেই। তরে রেজাল্ট সিটটা ছিরে ফেলে দেওয়া আমার ঠিক হয়নি।

রাজাপুর ইউনিয়ন নির্বাচনের রিটিরনিং অফিসার ইলিয়াস হোসেন জানান, নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা ও বিভিন্ন অভিযোগের জন্য নির্বাচন ট্রাইবুনাল রয়েছে। মোরগ প্রতিকের প্রার্থী নুরুল আমিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আমার কাছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আকখতারকে ডেকেছি। তার কাছ থেকে জানার পর নির্কাচন ট্রাইবুনালে রিপোট আকারে পেশ করবো। তখন নির্বাচন ট্রাইবুনাল বিষয়টির সুরাহা করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর