শিরোনাম
So verwenden Sie eine Taschenmuschi: Eine umfassende Anleitung Cómo hacer un bong con una botella de agua sin papel de aluminio Качественная поставка бетона по Краснодару কালিয়াকৈরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান। বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবীতে ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততায় কালিয়াকৈরে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা। নারী বিষয়ক সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী না ধরলে বালিয়াডাঙ্গী থানা ঘেরাও করার ঘোষণা। দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা।
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ের শতবর্ষী প্রাচীন গাছটির নাম  জানে না কেউ।

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২

ডালপালা ছড়িয়ে বিশাল আকৃতি ধারণ করেছে। ঘন পত্রপল্লবে দিনের বেলা এমন ছায়া হয়, যা দেখলে ক্লান্ত পথিকের শত তাড়ায়ও দাঁড়িয়ে যেতে হয়। শরীরটা একটু জিরিয়ে নিতে মন চায়। কিন্তু শতবর্ষী এই গাছের নাম স্থানীয়রা কেউ জানেন না। তাঁরা একে ডাকেন নাকিজাগাছ নামে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হাট ইউনিয়নের বড়দেশ্বরী বাজার এলাকায় সব গাছ ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এটি। উচ্চতা প্রায় ৩৫ ফুট। শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত করে প্রায় ১৪০ বর্গফুট এলাকাজুড়ে এর ছায়া। ফল আর পাতা ডুমুরগাছের মতো। কখনো ফুল ফোটেনি।
বড়দেশ্বরী বাজার এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আঠারো শতকের শেষের দিকে তৎকালীন জমিদার শ্যামাশান্ত রায়বাহাদুর এই গাছের নিচে একটি হাট বসিয়েছিলেন।
ঢোলার হাট গ্রামের ৭০ বছর বয়সী লোকমান হোসেন বলেন, ‘এই গাছের ফুল কখনো দেখা যায়নি। ডুমুরগাছের সঙ্গে এই গাছের পাতা ও ফলের অনেক মিল। কিন্তু ফলের আকৃতি ছোট। গ্রামের লোকজন একে নাকিজা নামে ডাকেন। তবে গাছটির প্রকৃত নাম কী, তা কেউ বলতে পারেন না। এমনকি আমাদের পূর্বপুরুষেরাও বলতে পারেননি, কারা কখন লাগিয়েছিলেন গাছটি।’
লোকমান হোসেন আরও বলেন, গাছটির ফল পাখিদের প্রিয় খাবার। যখন ফল হয়, তখন এই গাছে পাখির মেলা বসে।
বড়দেশ্বরী বাজারের মুদিদোকানি ইউসুফ আলী বলেন, ‘এ গাছের পাতা উট ও মহিষ খায়। একসময় শীত মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসত এই গাছে। তাদের কিচিরমিচিরে ভরে উঠত পুরো এলাকা। তবে শিকারিদের উৎপাতে এখন পাখির সংখ্যা কমে গেছে।
গ্রামের ৮০ বছর বয়সী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় এই গাছ যেমন দেখেছি, এখনো তেমনই আছে। বাবা-দাদাদের কাছে শুনেছি, তাঁরাও ছোটবেলায় গাছটিকে এমনই দেখেছেন। কত ঝড়-বৃষ্টি এই গাছের ওপর দিয়ে গেছে, হিসাব নেই। কিন্তু গাছটির কোনো ক্ষতি হয়নি।’
বিরল এই গাছের বংশবৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন গাছটির নাম দিয়েছে নাকিজা। কিন্তু এর প্রকৃত নাম এখনো জানা যায়নি। এটা আসলে কোন জাতের গাছ, তা গবেষণার মাধ্যমে জানা যেতে পারে। এলাকার বয়োবৃদ্ধদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে, গাছটির বয়স প্রায় ৩০০ বছরের বেশি। প্রাচীন এ গাছ আমাদের ঐতিহ্যের ধারক হতে পারে। তাই কৃষি বিভাগ একে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর