শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়, মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি।

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ / ২১৮ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

করোনার টিকা নিতে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে । রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যালয়ের অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

গত বৃহস্পতিবার থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এক সঙ্গে অধিক শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসায় এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয় ।

একই অবস্থা অভিভাবকদের মধ্যেও, স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই, যে যাঁর মতো করে চলছেন। হাসপাতালের সামনেই অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে গাদাগাদি করে একে অপরের সঙ্গে গল্প করছেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত ছিল।

জানা যায়, সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে কেন্দ্রে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে। দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও মুখে মাস্ক নেই। ফলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া টিকাকেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশে হওয়ায় সড়কে দেখা দেয় যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী।

অভিভাবকেরা জানান, একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিসর বাড়ানো যেত।

এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক করতে। তবে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরতে অনীহা প্রকাশ করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর