শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন

মানবতার ফেরিওয়ালা “প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন সন্টু”

কবির মাহমুদ / ৫৩২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য” গানের কথাগুলো বাস্তবে রুপ নেয় এমন কিছু মহান ব্যক্তিদের কারণে।যারা অন্যের প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েই আনন্দ লাভ করে।

তেমনি একজন পরোপকারী, সাদা মনের নিরহংকারী, প্রচারবিমুখ মানুষ ,প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন সন্টু ।

প্রমত্তা যমুনার কোলঘেঁষা নদী বিধৌত শুভগাছা ইউনিয়নের দোয়েল গ্রামে ১৯৭৬ সালের ২২শে জুলাই এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সাখাওয়াত হোসেন সন্টু। পিতা মৃত আজিজুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র হবার সুবাধে বাল্যকাল হতেই ডানপিটে আর চৌকস স্বভাবের ছিলেন তিনি। শৈশবের দূরন্তপনার মধ্য দিয়ে ১৯৮৫ সালে দোয়েল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা শেষ করে ভর্তি হন তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে, ১৯৯১ সালে এই বিদ্যালয় থেকেই এসএসসি পাশ করেন।

১৯৯৩ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ছাত্র সংসদের এজিএস নির্বাচিত হন।

স্বীয় মেধা,মনন,দক্ষতা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে পরবর্তী বছরে জিএস নির্বাচিত হন, সফলতার সাথে জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে পরের বছরেরই ভিপি নির্বাচিত হন। ছাত্র নেতৃত্বের পাশাপাশি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই ছাত্রনেতা অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বি.এস.সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পূর্ণ করেন এবং বর্তমানে তিনি শেলসাম ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।

ব্যবসার পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠন বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাজীবি সংগঠন আইটিইটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিজের পেশাদারিত্ব আর ব্যবসার সুবাধে জন্মভূমি থেকে অনেকটা দূরে থেকেও জন্মভূমির প্রতি মায়া,মমতা, দায়িত্ব আর কর্তব্য ভুলে যাননি তিনি। নদী ভাঙা কাজিপুর বাসীর পাশে সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি।সামাজিক,সাংস্কৃতিক, সেচ্ছােসেবী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে গড়ে তুলেছেন কাজিপুরের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন “ভয়েস অব কাজিপুর”এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি এবং তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রচেষ্টায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রান,শীতার্তদের শীত বস্ত্র,গরীব দুঃখীদের ঈদ সামগ্রী,দুস্হ ও বিধবাদের কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া,মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি সহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন তিনি।

প্রচারবিমুখ মহান এই মানবতার ফেরিওয়ালা গান্ধাইল ইউনিয়নে নিজ অর্থায়নে গড়ে তুলেছেন গুচ্ছ গ্রাম,যেখানে বসতি গড়ে তুলেছে শতাধিক অসহায়,গরীব দুঃখী মানুষ।

নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের সেবা করার সুবাধে অল্প সময়েই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।গ্রামের কাঁদা মাখা মেঠোপথ, গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে রোদে পুড়ে, বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে মাইলের পর মাইল হেটেছেন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য মানবতার উপহার সামগ্রী নিয়ে।

নিজ গ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ,মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।দেশজুড়ে চলমান মহামারি করোনাকালীন সময়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পাশে থেকেছেন কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে।

মানবসেবা ও সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা,স্কুলে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়ন সাধিত করার চেষ্টা করছেন,যার ফলে তাঁকে নিজ এলাকার বাংলা বাজার মার্কাস মসজিদ,দোয়েল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাংলা বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে সভাপতি এবং টেংলাহাটা আরআইএম ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সাথে।

সাবেক সফল এই ছাত্রনেতা বর্তমানে বৈবাহিক জীবনে দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর