রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যার হুমকি চিকিৎসক গৃহবধুর।

রিপোটারের / ১৬১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ঢাকায় এমবিবিএস পড়াশোনা করাকালীন সময়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ধর্ম ত্যাগ মুসলিম হয়ে প্রেমিককে বিয়ে করার পরও স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর স্বীকৃতি পায়নি অভিযোগ তুলেছেন ডা. আয়েশা সিদ্দিকা নামে এক চিকিৎসক গৃহবধু। তাঁর বাড়ী বরিশাল জেলার সদর উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সাংবাদিকদের নিকট স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ঢাকায় ২০১৫ সালে এমবিবিএস পড়াশোনা করাকালীন সময়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার আব্দুল বাসেদের ছেলে বাবলুর রশিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয় পড়েন। পরে ২০১৬ সালে ঢাকা জজ কোর্টে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়ে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর পরে ঢাকায় ৩ বছর ও ঠাকুরগাঁও শহরের সরকারপাড়া এলাকায় আরও ২ বছর সংসার করেন তাঁরা।

লিখিত বক্তব্যে ওই গৃহবধু আরও অভিযোগ করে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে থাকাকালীন সময়ে আমার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার কারণে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। কারণে অকারণে টাকার জন্য আমার উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার শ্বশুরবাড়ীর লোকজনকে জানালে তারাও আমার উপর চড়াও হয় এবং টাকা ও আমার পিতা-মাতাকে ধর্মত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ শুরু করে। উপায় না পেয়ে আমি আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করি। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বর্তমানে আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ঠাকুরগাঁও ছেড়ে চলে যাওয়াসহ মামলা তুলে নিতে নিয়মিত হুমকি প্রদান করছে। ধর্মত্যাগ করার কারণে পিত্রালয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এদিকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজনও বাড়ীর বধুর হিসিবে স্বীকৃতি দিয়ে ঠাঁই দিচ্ছেনা। এ অবস্থায় আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। সাংবাদিকদের মাধ্যমে চিকিৎসক ওই গৃহবধু প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।

এ বিষয়ে চিকিৎসক গৃহবধুর স্বামী বাবলুর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে গৃহবধুর শ্বশুর আব্দুল বাসেদ সাংবাদিকদের জানান, মেয়েটি ধর্ম ত্যাগ করে আমার ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমরা মেনেও নিয়েছিলাম। পরে মেয়েটি পুনরায় নিজ জেলায় গিয়ে বিয়ে করেছে। এমন খবর আমরা পেয়েছি। তাছাড়া মামলা মোকর্দ্দমায় জড়ানোর কারণে আমার ছেলে তার সাথে সংসার করতে চায় না। তারা দুজনে সংসার করলে আমার কোন আপত্তি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর