আজ সরস্বতী পূজা। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মা সরস্বতী জ্ঞানময়ী বিদ্যার দেবি। এটি তাদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গেল দুই বছর ঘটা করে সরস্বতী পূজা করা না গেলেও এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেকটা আড়ম্বরপূর্ণভাবেই পালিত হচ্ছে।
পঞ্জিকা মতে, শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আবাহন হবে। এক হাতে বীণা অন্যহাতে পুস্তক তাই স্বরস্বতীকে বীণা পানি – সরস্বতীও বলা হয়। বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা।
অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানাবেন বিদ্যার্থীরা। ঢাক- ঢোল কাঁসর আর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে প্রতিটি মন্দির। মন্দির ছাড়া বাসা- বাড়িতেও সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সরস্বতী বিদ্যা ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিত হোন। তবে জানা গেছে, করোনার কারণে এবার মূল পূজার বাইরে আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা এবারও থাকছে না। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারও জনসমাগম যতটা এড়িয়ে চলা যায় সে ব্যবস্থা থাকবে। আবার এই করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। মূলত সরস্বতী পূজা বেশিরভাগই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা আয়োজন করে থাকেন।
সরস্বতী পূজার দিনে দেবীর সামনেই হাতে খড়ি দেওয়ার বিষয় থাকে। এ সময় মা সরস্বতীর সামনে ব্রাহ্মণের হাতে মন্ত্রপাঠের সঙ্গে সঙ্গে লেখার মধ্য দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হয়।