শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

বাঘায় আশ্রয়হীন বিধবা ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিয়ে ঘর উপহার দিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। 

মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বাঘায় আশ্রয়হীন বিধবা ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিয়ে ঘর উপহার দিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। 

 রাজশাহীর বাঘায় আশ্রয়হীন এক বয়স্ক বিধবা ভিক্ষুক রাবিয়া বেগম (৬০) দায়িত্ব নিয়ে একটি ঘর উপহার দিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে  তাঁর নাতীর বাড়ির পাশে একটি নতুন ঘর তৈরী করে  রাবিয়া বেগমকে উপহার সেই ঘরের চাবি তুলে নেওয়া হয় । বিধাব রাবিয়া বেগম উপজেলার আমোদপুর গ্রামের প্রয়াত আলীমুদ্দিনের স্ত্রী ।
জানা যায়, আশ্রয়হীন বয়স্ক বিধবা ভিক্ষুক রাবিয়া বেগমের মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম মাধ্যমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানার পরে তিনি রাবিয়া বেগমের সাথে দেখা করেন। তিনি দেখা করে জানতে পারেন আর্থিক অসচ্ছলতায় ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তিনি। তাঁর মাথা গুজার কোন ঠাঁই নেই। তাঁর একমাত্র নাতী লালন উদ্দিনের বারান্দায় ঘুমান। তাঁর আয়ের উৎস বলতে ভিক্ষাবৃত্তি ও বয়স্ক ভাতার সামান্য টাকা।
পরে কৃষি কর্মকর্তা তাঁর নাতী লালন উদ্দিনের সাথে কথা বলে তাঁর বাড়ির পাশে  সামান্য একটু জায়গা নিয়ে একটি ঘর তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেন । একই সাথে তাঁর নাতীকে প্রতিমাসে তাঁর নানীর খাবারসহ  প্রয়োজনীয় খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাফিজ শরিফ ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা  মিলন কুমার দাস।
এদিকে কৃষি কর্মকর্তা এমন মহানুভবতায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সমস্যা নিরসনের আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেন রাবিয়া বেগম । তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন এবং আগামীতে আর ভিক্ষাবৃত্তি করবে না জানান তিনি।
বাজবাঘা ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আমাদের সমাজে অনেক বৃত্তশালী মানুষ রয়েছেন। যদি শফিউল্লাহ সুলতান সাহেবের মত  গরীব দুখীদের প্রতি এমনটি সাহায্যের হাত বাড়াতেন, তাহলে এই সামাজে অসচ্ছল মানুষগুলোর দুর্দশা লাঘব হতো।
উপজেলা কৃষি কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, মানবসেবা হলো সবচেয়ে বড় সেবা । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে আশ্রয়হীন কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পূর্নবাসন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। আমি তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে একজন ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর