বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৬:৫০ অপরাহ্ন

বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকে বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ / ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২

বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকে বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন।

রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু  করেছেন এক কলেজছাত্রী । মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পরে প্রেমিক জনি আহম্মেদের বাড়ির গেটে কলেজ ছাত্রী অবস্থান নিলে জনি আহম্মেদের বাড়ির লোকজন বাড়ির গেটে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা রাতভর মিমাংসা চেষ্টা করে কাজ হয়নি। পরে চৌকিদার পাহারায় রাখা হয়েছে। বুধবার (৬ এপ্রিল) এলাকার মানুষজন তাঁর অনশন দেখার জন্য বাড়ির গেটে ভিড় করছে।

কলেজ ছাত্রীর জানান, বিয়ে না করা পর্যন্ত কোন প্রকার খাবার খাবেন না এবং প্রয়োজনে আতহত্যা করবেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ওই স্থানেই অবস্থান করবেন। কলেজ ছাত্রী জনিকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবেনা মর্মে, তাঁর বাড়িতে অনশন শুরু করেছে।
জানা যায়, প্রায় ৮ বছর ধরে কলেজ পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে উপজেলার একই ইউনিয়নের ধন্দহ সরকার পাড়া গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে জনি আহম্মেদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাঁরা উভয়ে একই সাথে মাধ্যমিক স্কুল পরে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ালেখা শেষ করে আব্দুলপুর সরকারী কলেজে ব্যবস্থাপনা অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। পরে জনি আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।  ছেলে ছুটিতে বাড়ি আসলে মেয়ের বাড়ির পক্ষে থেকে  বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেও অপেক্ষা করতে বলে ছেলে ও ছেলের পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় মেয়ে ভেবে নেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বলায় হয়তো ছেলে বিয়ে করবে না তাঁকে।
এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়াডের্র ইউপি সদস্য (মেম্বার) রেজাব উদ্দিন সরকার বলেন,কিছুদিন আগে দুই পরিবারকে নিয়ে বসেছিলাম, জনির পরিবার জানান আমাদের ছেলের  বিয়ের সময় হয়নি, মেয়ে অপেক্ষা করলে অবশ্যই বিয়ে দিবো।  পরে মঙ্গলবার রাতে শুনচ্ছি মেয়ে ছেলের বাড়িতে আসছে। পরে জনি ও জনির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পাওয়া বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পরে মেয়েকে চৌকিদার পাহারায় রেখেছি। তিনটা পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি।
এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান বলেন, বিশেষ কাজে আমি ঢাকাতে আছি, তবে এই বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার আমাকে অবগত করলে তাকে বলি, দুই পরিবার সমঝতায় না আসলে প্রশাসনের সাহায্য নিতে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর