বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৪:০২ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে ৪০ লাখ টাকার সড়ক,নির্মাণের তিন মাসেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং ! 

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ / ১৫১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

রাণীশংকৈলে ৪০ লাখ টাকার সড়ক,নির্মাণের তিন মাসেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং ! 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নির্মাণের তিন মাসেই উঠে যাচ্ছে নতুন সড়কের কার্পেটিং। উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের বনগাঁও এলাকার বনগাঁও-ভোলাপাড়ার কাঁচা সড়কের ৫ শ’ মিটার পাকা করণের কাজ চলতি বছরের ২০ মার্চ সমাপ্ত হয়। সড়ক নির্মাণের পরের দিন থেকেই পাথর উঠা শুরু করে। এছাড়াও সড়কের এজিং এ নিন্মমানের ইট দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় কাজটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ১৯৮ টাকা টেন্ডার বরাদ্দে গত বছরের ২৪ জুলাই কাজটি পায় “মা বাবার দোয়া ট্রের্ডাস” নামক দিনাজপুরের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সে আবার কাজটি রাণীশংকৈলের স্থানীয় ‘সুলতান টেড্রার্স’ নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেন। সে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের নির্ধারিত শেষ সময় অনুযায়ী চলতি বছরের ২০ মার্চ কাজ সমাপ্ত করেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। কার্পেটিং উঠে অনেক স্থানে গর্ত হয়ে রয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং পাথর উঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নিন্ম মানের ইটের এজিং দেওয়ায় তা বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে।
স্থানীয় কৃষক হামিদুর রহমান বলেন, সড়কটি যখন থেকে নির্মাণ হয়। সেদিন থেকেই অনিয়মে ভরপুর সড়কের সাব-বেজ ও ডব্লিউ বিএম (খোয়া) এ নিন্মমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কার্পেটিং করার সময় দায়সারা ভাবে করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক উপজেলার শ্রেষ্ঠ কৃষক পয়গাম আলী বলেন, রাস্তাটি নিয়ম মেনে নির্মাণ করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। একইভাবে অজ্ঞাত কারণে নিশ্চুপ ছিল উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গণি। তার সঠিক তদারকির অভাবে সড়কটির এমন দশা বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় ঠিকাদারের প্রতিনিধি আবু জাফর বলেন, কার্পেটিং তো উঠার কথা না । তারপরেও বিষয়টি আমি দেখছি।
রাণীশংকৈল প্রকৌশলী দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল গণি বলেন, জুন মাস চলছে কাজে খুব ব্যস্ত আছি। পরে কথা হবে। তারপরেও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই রাস্তাটি কবে নির্মাণ হয়েছে তা সঠিক জানা নেই। জুন মাসের পরে আসেন তখন কথা হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রকৌশলী কে এম সাব্বিরুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর