শিরোনাম
안전한 토토사이트 이용 가이드 উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু। কালিয়াকৈরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান। বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবীতে ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততায় কালিয়াকৈরে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা। নারী বিষয়ক সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী না ধরলে বালিয়াডাঙ্গী থানা ঘেরাও করার ঘোষণা। দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা। কমলগঞ্জে বর্ণীলসাজে মণিপুরীদের ঐতিহ্যগত “লাই-হরাউবা” উৎসব।
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি।

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ / ৭৪২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি


দীর্ঘ ৫০ বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ের হরিজন বাসফোর সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার কোন পরিবার গৃহহীন থাকবে না প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার নারগুন ইউপির কৃষ্ণপুরে এ বাসফোর পল্লীটি স্থাপন করা হয়। সেখানে উল্লেখিত ৩৪টি পরিবারের প্রায় ২শতাধিক সদস্য নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন তারা। চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে তাদেরকে বাড়িগুলি বুঝিয়ে দেন সদর উপজেলা প্রশাসন।

জানা যায়, পৌর শহরের ফকিরপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্নকর্মীদের ভুইমালী ও বাসফোর ২ সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে প্রত্যেক বাড়ির একই ঘরে ৫/৬ জন সদস্য কষ্ট করে বসবাস করে আসছিলেন। এতে করে একই ঘরে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন তারা।

সমস্ত পল্লীতে একটি মাত্র টিউবওয়েল ছিল। ঠিকমত পানিও খেতে পারতো না পরিবারের সদস্যরা। শৌচাগারও ছিল একটি মাত্র। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের কলহ-বিবাদ লেগেই থাকতো। এ অবস্থায় ওই ২ সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের কষ্টের কথা সদর উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

পরে সদর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়। এক সময় সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে ওই ২ সম্প্রদায়ের জন্য জমির বন্দোবস্ত হলে সেখানে শুরু হয় নতুন পাকা ঘর ও রঙিন টিনের তৈরী বাড়ি নির্মাণের কাজ। কাজ শেষে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে ৩৪ টি বাসফোর সম্প্রদায়ের মানুষজনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

সেখানে ঘর ও নতুন বাড়ি পাওয়া রাজু বাসফোর বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন বাড়ি-ঘর ছিল না। আগের বাসস্থলে আমরা অনেক কষ্ট করে জীবন কাটিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন বাড়ি ও ঘর পেয়ে আমরা নতুন করে জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। নতুন বাড়ি ও ঘরে উঠার পর থেকে আমাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে, একারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

নতুন বাড়ি ও ঘর পাওয়া সামারিয়া বাসফোর নামে এক নারী বলেন, জীবনে আমরা যে পরিমান কষ্ট করেছি তা বলার মত নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে তাকিয়েছেন। বর্তমানে আমরা নিশ্চিন্তে এখানে বসবাস শুরু করেছি।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান বলেন, প্রায় ৩ মাস আগে বাসফোর সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবারকে একটি করে নতুন বাড়ি প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার কোন পরিবার গৃহহীন থাকবে না প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতক করে জমি প্রদান করা হয়। এতে প্রত্যেক সদস্যকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা খরচ করে নতুন বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এক সময় তারা খুবই কষ্ট করে জীবন যাপন করে আসছিলেন। সদর উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে নতুন ঘর ও বাড়ি দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি। তারাও অনেক খুশি। তারা নতুন এই আবাসস্থল পাওয়ার কারনে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবেন। নিশ্চিন্তে ও স্বাচ্ছন্দে বসবাসের ফলে তাদের নতুন জীবন শুরু হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান জানান, সবচেয়ে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী হিসেবে বাসফোর সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে শহরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করে আসছেন। তাদের নিজস্ব বাড়ি-ঘর না থাকার কারনে তারা কষ্ট করে জীবন যাপন করছিলেন। এ কারনে তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন বাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর