শিরোনাম
Patio Umbrella – crestlive products in Belvidere, New Jersey সরকারি সম্পত্তি(বিলে)মাটি কাটায় বাধা গ্রাম পুলিশের পরিবারের উপর হামলা, আহত ৩। উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু। কালিয়াকৈরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান। বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবীতে ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততায় কালিয়াকৈরে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা। নারী বিষয়ক সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী না ধরলে বালিয়াডাঙ্গী থানা ঘেরাও করার ঘোষণা। দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা।
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০১:৩১ অপরাহ্ন

রাণীশংকৈলে দুই পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়।

মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ / ১০৯ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক নেকমরদ ও কাতিহার পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে অর্থদন্ডের সাজা হলেও, মিলছে না প্রতিকার। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

হাট দুটি প্রতি সপ্তাহের শনিবার কাতিহার ও রবিবার নেকমরদে বসে। অভিযোগ রয়েছে, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ইজারাদারদের একাধিকবার শাস্তি হিসাবে অর্থদন্ড প্রদান করলেও। অতিরিক্ত খাজনা আদায় তোলা বন্ধ হচ্ছে না।

জানা গেছে,১৪৩০ বাংলা সনের জন্য নেকমরদ পশুর হাট প্রায় দেড়কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন নেকমরদ এলাকার ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হোসেন অপরদিকে কাতিহার পশুর হাট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন বাচোর এলাকার সানোয়ার হোসেন লিয়ন।তারা হাট দুটি পহেলা বৈশাখের ২ ও ৩ তারিখে বছরের প্রথম খাজনা আদায়ের সুচনা করেন। এ দিন থেকে তারা গরু প্রতি ৪০০ টাকা, ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা হিসাবে খাজনা আদায় করে চলেছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ নির্ধারিত দর অনুযায়ী গরু প্রতি ২৩০ টাকা, ছাগল প্রতি ৯০ টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে। এসব বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে চলছে। তবে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে গত ১৬ ও ২৩ এপ্রিল নেকমরদ পশুর হাট সংলগ্ন মহাসড়কে মানবন্ধন করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এসব মানববন্ধন ও প্রতিবাদের কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ইন্দ্রজিত সাহা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে পর পর তিনটি হাটে মোট ৫১ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে জরিমানা আদায় করেছেন। অপরদিকে কাতিহার হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ১৩ মে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা। তবে খাজনা আদায়ের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থের সাজা প্রদান করলেও অতিরিক্ত খাজনা আদায় তোলা বন্ধ হচ্ছে না।

স্থানীয় পশু ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম, আদাবর আলীসহ একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিবেদককে বলেন, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পর তারা লোক দেখানো ব্যবস্থা নেই। হাটে এসে সামান্য জরিমানা করেই চলে যান। হাটের দিন কমপক্ষে ৫শত গরু ক্রয় বিক্রয় হয়। ছাগল হয় দেড় থেকে ২শতটির মত। সে হিসাবে গরুতে অতিরিক্ত টাকা নেই প্রায় ৮৫ হাজার অপরদিকে ছাগলে অতিরিক্ত টাকা নেই ১২ হাজার টাকা। আর প্রশাসন অভিযোগ পেলে এসে জরিমানা করে সামান্য টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, নেকমরদ পশু হাটে ইতিমধ্যে তিনবারে (১০ হাজার,১৬ হাজার,২৫ হাজার) মোট ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। কাতিহার হাটে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। তবে খাজনা বেশি নেওয়ার অপরাধে জরিমানা করলেও। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীনও অতিরিক্ত খাজনা আদায় হয়ে থাকে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোক দেখানো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। কারণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যদি অপরাধটি বন্ধ না হয় তাহলে সাধারণ মানুষের তো কোন উপকারের আসছে না। বন্ধ হচ্ছে না অতিরিক্ত খাজনা তোলা।
শনিবার কাতিহার ও গত রোববার নেকমরদ হাটে গিয়ে দেখা যায়, তারা যথারীতিতে গরু প্রতি ৪০০ টাকা ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা খাজনা আদায় করছে।

জানতে চাইলে কাতিহার হাট ইজারাদার সানোয়ার হোসেন লিয়ন বলেন, অন্যান্য হাটে বেশি খাজনা আদায় করা হয়। তাই কাতিহার হাটেও খাজনা বেশি নেওয়া হয়। তাছাড়া খাজনা বেশি তোলার বিষয়টি প্রশাসনেও জানে। তারা তো কখনো কিছু বলে নি।

নেকমরদ হাট ইজারাদার তোজ্জাম্মেল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো। তবে মুঠোফোনে কোন মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাই্ন কবির বলেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও যেহেতু অতিরিক্ত খাজনা তোলা বন্ধ হচ্ছে না। এটা নিয়ে কি করা যায়, তার সঠিক সুরাহা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বলা হয়েছে। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর