শিরোনাম
So verwenden Sie eine Taschenmuschi: Eine umfassende Anleitung Cómo hacer un bong con una botella de agua sin papel de aluminio Качественная поставка бетона по Краснодару কালিয়াকৈরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান। বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবীতে ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততায় কালিয়াকৈরে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা। নারী বিষয়ক সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী না ধরলে বালিয়াডাঙ্গী থানা ঘেরাও করার ঘোষণা। দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা।
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঠং ঠং শব্দে মুখরিত বাঘার কামাড় পট্টি।

মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ / ১৯৮ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩

কোরবানি দিবেন এমন পরিবারের সদস্যরা বা কোরবানির দায়িত্ব পাওয়া কসাইরা নিজেদের চাহিদামতো দা, ছুরি, চাক্কু, চাপাতি, কুড়াল, বটি বানাতে ছুটছেন কামারদের কাছে। তাই গরম লোহা পেটানোর ‘ঠং ঠং’ শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে বাঘা উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের কামারপট্টিগুলো।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে এসব তৈরি এবং পুরনোগুলো শাণ দিয়ে ধারালো করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাঘা উপজেলার কামাররা। এসব মালামালের চাহিদা পূরণে কামাররা দিন-রাত কাজ করছেন। জমজমাট হয়ে উঠেছে কামারপাড়া। এ ব্যস্ততা চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। গত কয়েকদিন রাজশাহীর বাঘাতে কামারপাড়া ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।

বাঘা উপজেলার বাঘা পৌর শহরের নারায়নপুর, বাঘা বাজার, চন্ডিপুর, আড়ানী পৌর এলাকার আড়ানী বাজার, রুস্তপুর বাজার,কটারমোড়, আড়ানী রেল স্টেশন, বাউসা ইউপির দিঘা বাজার, বাউসা বাজার, তেঁথুলিয়া বাজার, আড়ানী ইউপির হরিপুর বাজার, পাচঁপাড়া বাজার, চক-বাউসা বাজার, মনিগ্রাম ইউপির মনিগ্রাম বাজার, বিনোদপুর বাজারর, মিরগঞ্জ বাজার,পাকুড়িয়া ইউপির পানিকামড়া বাজার, আলাইপুর বাজার,কেশবপুর বাজার,গড়গড়ি ইউপির খায়েরহাট বাজার, সরেরহাট বাজার,খানপুর বাজার,বাজুবাঘা ইউপির চন্ডিপুর বাজার,জোতরাঘব বাজার, বারখাদিয়া বাজার, পিরগাছা বাজার,চকরাজাপুর ইউপির চকরাজাপুর বাজার, পলাশী বাজারসহ ছোট-বড় সকল হাটে ঘুরে দেখা যায় সেখানকার কামাররা ছুরি চাপাতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক ক্রেতা এসে বাঘার কামারপট্টির দোকানে ভিড় করছেন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার কামাররা দোকানে বসেই খেয়ে নিচ্ছেন। পুরোনো দুটি দা, একটি বটি ও একটি ছুরিতে শাণ দেওয়ার জন্য কামররা ২৫০ টাকা রখছেন। অন্য সময়ে এর মজুরি দেড়শ টাকার মতো। আর নতুন একটি ছোরা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, বিভিন্ন সাইজের চাক্কু ৫০ থেকে ১০০ টাকা, বটি দুইশ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। ক্রেতারা জানান, অন্য সময়ের চেয়ে এখন দ্বিগুণ দাম রাখা হচ্ছে।

কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের সময় তাদের যে বেচাকেনা হয় তা অন্যকোনও সময়ে হয় না। তাই এ ঈদের আগে পেশাজীবী কামারদের সচ্ছল হওয়ার মোক্ষম সময়। অনেক কামার আগে থেকেই এসব মালামাল প্রস্তত করে ঈদের সময় বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন।

কামাররা জানান, এ পেশায় পরিশ্রম অনুযায়ী তারা মূল্য পান না। বাজারে লোহার দাম বেশি। জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু পরিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে এখনও আঁকড়ে আছেন অধিকাংশ কামার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর