বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন

বাঘায়  ১’শ টাকার জন্য  খাকছার আলী হত্যা, ১৯ দিন পর আসামী গ্রেপ্তার।

মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি / ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় দিন-দুপুরে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে বাইসাইকেল মেকানিক (মেরামতকারী) খাকছার আলীকে (৪০) হত্যার ১৯ দিন পর আবির হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আবির হোসেন (২৫) উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দিঘা গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে আবির হোসেন (২৫) নেশার টাকার জন্য তার মাকে নির্যাতন করার এক পর্যায় হাসুয়া নিয়ে খুন করতে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা বাধা প্রদান করে। ঠিক এমন সময় ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিল বাঘা থানা পরিদর্শক ( তদন্ত)সবুজ রানা ও উপ-পরিদর্শক নুর আফসার।  এমন খবর পেয়ে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তারা । এরপর সন্দেহমূলক “খাকছারকে’’ কেনো মেরেছিস কেন প্রশ্ন করলে ? আবির জানায়, আমি নেশা করার জন্য ওর কাছে একশ টাকা চেয়ে ছিলাম। সে টাকা না দেওয়ায় আমি তাকে মেরেছি। এরপর হত্যার আলামত ধারালো সেই হাসুয়াসহ তাকে  গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়।
এ বিষয়ে বাঘা থানার পরিদর্শক(ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, বাইসাইকেল  মেকানিক খাকছার আলী হত্যাকারী আবির হোসেনের সম্পর্কে  প্রতিবেশি দাদা। দাদার কাছে মাত্র ১০০ টাকা চাই। এই টাকা দিতে না চাওয়ায় ক্ষোভে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে। স্থানীয় লোকজন মুখ না খোলা এবং সিসি ফুটেজ না থাকায় কোনভাবেই খুনিকে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাৎক্ষণকিভাবে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে চিহৃত করতে না পারলেও ১৯ দিন পর আসামী চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আবির হোসেন  শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ১৬৪ ধারায় রাজশাহীর আমলী আদালতে নেওয়া হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ হত্যার কথা শিকার করেছেন। তিনি আরও বলেন, আসামী আরিব হোসেন একজন মাদকাসাক্ত। সে বাড়িতে, প্রতিবেশি ও নিকট আতœীয়দের কাছে মাঝে মধ্যে টাকা চাই। টাকা দিতে না পারলে গালমন্দ করত।
এ বিষয়ে খাকছার আলীর বড় ভাই কাউসার আলী বলেন, নিহত খাকছার আলী প্রায় ১৫ বছর যাবত দিঘা বাজারে বাইসাইকলে  মেকানিক (মেরামতের) কাজ করে। আমার জানা মতে ছোট ভাইয়ের কোন শত্রæ ছিলনা। ভাইকে এভাবে হত্যা করেছে, আমি তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের স্ত্রী চম্পা বেগম বলেন, আমার এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। সাইকেল মেরামতের টাকায় চলতো ৫ সদস্যরে সংসার। সংসারে উর্পাজনের একমাত্র মানুষ আমার স্বামীকে হত্যাকারি আবির হোসেনের ফাঁসি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর একটা দিকে বাঘা উপজলোর বাউসা ইউনিয়নের দিঘা বাজারে দিন-দুপুরে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত খাকছার আলী (৪০) বাঘা উপজলোর বাউসা ইউনয়িনরে হিন্দুপাড়া গ্রামরে মৃত আক্কাস আলীর ছেলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর