রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

মাধবপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত।

নাহিদ মিয়া,মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি। / ১৯০ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪

নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি। 
লোকবল সংকট, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোডশেডিং এর কারণে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে  অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রায়ই লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়তে হয় ডাক্তার ও রুগীদের।
বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক সময় জরুরী সিজারিয়ান অপারেশনের রুগীকে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় ডাক্তারদের। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নতি হয়েছে নামেই। নতুন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল দেওয়া হয়নি। ৩৬ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ১৯ জন।কার্ডিওলজি, ইএনটি, এনেস্থিসিয়া, সার্জারি,  চর্ম ও যৌন কনসালটেন্ট পদ দীর্ঘদিন যাবত শুন্য। স্বাস্থ্য সহকারী ৫০ টি পদের মধ্যে ১৮ টি পদ শুন্য।  স্টাফ নার্স থাকার কথা তিনজন, আছে মাত্র একজন। ওয়ার্ড বয় তিনজন থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন।কোন স্টোর কিপার না থাকায় আয়া মালি দিয়ে চলছে স্টোরের কাজ।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব তিনটি পদের দুটোই শুন্য। মেডিকেল টেকনিশিয়ান রেডিওগ্রাফি না থাকায় এক্সরে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। দন্ত বিভাগে নেই টেকনিশিয়ান, চক্ষু বিভাগে নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। প্রস্রাব পরিক্ষার জন্য কোন রুম না থাকায় রুগীদের বাইরে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে বেশি টাকা দিয়ে পরিক্ষা করতে হচ্ছে।  ট্রমা সেন্টার না থাকার কারণে হাড়ভাঙ্গা রুগীদের কোন চিকিৎসা করা যাচ্ছেনা এখানে ।
কম্পাউন্ডার, ওটিবয়, ইমারজেন্সি এটেনডেন্ট, মালী সহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ পদ শুন্য। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ইশতিয়াক আল মামুন বলেন, আমাদের পুরনো বিল্ডিংয়ের জন্য আগের একটি জেনারেটর আছে। যেটি দিয়ে নতুন বিল্ডিংয়ে কাভার দেওয়া যায় না, তাই বিদ্যুৎ না থাকলে সিজারিয়ান অপারেশনের সমস্যা হয়।
আমাদের লোকবল সহ যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা দিয়ে রেখেছি। তবে কবে নাগাদ পাওয়া যাবে বলতে পারছি না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর