শিরোনাম
Cómo hacer un bong con una botella de agua sin papel de aluminio Качественная поставка бетона по Краснодару কালিয়াকৈরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান। বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবীতে ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততায় কালিয়াকৈরে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা। নারী বিষয়ক সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী না ধরলে বালিয়াডাঙ্গী থানা ঘেরাও করার ঘোষণা। দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা। কমলগঞ্জে বর্ণীলসাজে মণিপুরীদের ঐতিহ্যগত “লাই-হরাউবা” উৎসব।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

ফরজ গোসলের আগে অপবিত্র অবস্থায় কি সেহরি খাওয়া যাবে?

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ / ২৬৯ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাস, এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সংযমের সঙ্গে ইবাদত করে থাকেন। এ জন্য এই মাসে পবিত্রতার বিষয়ে সবাই বেশ সতর্ক থাকেন।
কিন্তু কখনো রাতে স্বপ্নদোষ বা সহবাসের কারণে গোসল ফরজ হয়ে যায়। এ অবস্থায় সেহরি খাওয়া যাবে কি না। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে নানা প্রশ্ন থাকে।
রোজা রাখার উদ্দেশে শেষ রাতে ঊষা উদয়ের আগে যে পানাহার করা হয়, তা সেহরি হিসেবে পরিচিত। রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। তবে স্বপ্নদোষ বা স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা ফরজ। এ ফরজ গোসল না করে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।
আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকাকেই রোজা বলা হয়। আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়। কিন্তু এটি নিয়ে বেশকিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান, যেগুলো নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তেমনই একটি হচ্ছে, ফরজ গোসলের আগে সেহরি খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে।
রমজান মাসে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়। গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। কারণ সেহরি খাওয়ার জন্য পবিত্রতা ফরজ নয়, বরং সুন্নত।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এই বিষয়ে দুইভাবে বর্ণিত আছে, গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের পূর্বে পবিত্র হয়ে নেওয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়। গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। তাই গোসল ফরজ অবস্থায় সেহরি খেতে পারবেন।
ফকিহবিদদের মতে, যদি গোসল ফরজ হয়ে যায় তা সত্ত্বেও সেহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোজা সহি হবে। তবে ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময় মতো নামাজ আদায় করতে হবে।
এই বিষয়ে মুসলিম শরিফের ২৫৯২ নম্বর হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে কোনো কারণ ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় রাসুল (সা.) সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন। অতঃপর তিনি গোসল করে রোজা রাখতেন।
(বোখারি : ১৮২৯, মুসলিম : ১১০৯।)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর