শিরোনাম
So verwenden Sie eine Taschenmuschi: Eine umfassende Anleitung Cómo hacer un bong con una botella de agua sin papel de aluminio Качественная поставка бетона по Краснодару কালিয়াকৈরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান। বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবীতে ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততায় কালিয়াকৈরে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা। নারী বিষয়ক সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী না ধরলে বালিয়াডাঙ্গী থানা ঘেরাও করার ঘোষণা। দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা।
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

বাঘায় সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে যাত্রাপালা ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ 

মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
আধুনিকতায় হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা। শেকড়ের এই লোক-সংস্কৃতির পুনরুদ্ধারে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের সংস্কৃতিমনা তরুণ ও যুবকেরা। তাঁদের এই উদ্যোগে মঞ্চস্থ হলো রোমান্টিক যাত্রাপালা ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’।
গত সোমবার ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় অমরপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তৈরি করা মঞ্চে এই যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হয়। ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ যাত্রাপালাটির রচয়িতা ভৈরবনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। স্থানীয়ভাবে পালাটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মাদ আলী মাহাম।
যাত্রাপালার গোড়ার গল্প থেকে জানা গেছে, শুরুর দিকের যাত্রাপালাগুলো মূলত কাহিনিনির্ভর। যাত্রাপালায় আছে বলিষ্ঠ ভূমিকা সামাজিক শিক্ষা বা লোকশিক্ষার ক্ষেত্র। এই পালাটিও ঠিক তেমন বলে মন্তব্য করেন এর পরিচালক।
মোহাম্মাদ আলী মাহাম বলেন, এটি একেবারেই গ্রামবাংলার নবাব পরিবারের সঙ্গে সহজ সরল পরিবারের কাহিনি। সাধারণ বাঙালি ঘরের একটি পরিবারের নির্যাতনের কাহিনি উঠে এসেছে এই পালাটিতে। যদিও লেখক আরও অনেক বছর আগে লিখেছেন, তবুও এটি এখনকার সময়ের সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই। আধুনিকতার যুগেও দর্শক এটি খুব ভালোভাবে নিয়েছে। যাত্রাপালাটি দর্শকপ্রিয় পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আধুনিককালে এসে যাত্রাপালার কথিত যে আধুনিক সংস্করণ বর্তমানে ভালো কোনো গল্প নেই, পালার আমেজ নেই, ডিজে বাজিয়ে পালার আসরে নারী-পুরুষের যৌথ উচ্ছৃঙ্খল যখন যাত্রার উপজীব্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে, তখন ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ যাত্রাপালাটি থেকে দর্শকেরা মূল যাত্রার স্বাদ পেয়েছে। এক কথায় সুস্থ ধারার বিনোদনেরও একটি মাধ্যম যাত্রাপালা।
স্থানীয় যাত্রাপালার নির্দেশক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যাত্রা একটি লোকশিক্ষা। এটি মা, মাটি, দেশ ও সমাজের কথা বলে। আদি সংস্কৃতির সেই যাত্রা পুরোনো স্মৃতিগুলোকে আবার সামনের দিকে নিয়ে আসতে চাই। সেই প্রয়াসেই আজকের মঞ্চায়ন।’
যাত্রাপালাটির দর্শক সেলিম হোসেন বলেন, বর্তমানে যাত্রাপালার আধুনিক সংস্করণ সেটা যাত্রাপালা দেখার সাধ মেটানোর মতো ব্যাপার। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ পালাটি একটি অসাধারণ মঞ্চায়ন।
তানভীর আল ইসলাম নামে অপর এক দর্শক বলেন, ‘যাত্রাপালার মঞ্চায়ন, শিল্পী, পরিবেশ, সাউন্ড কোয়ালিটি ও কলাকুশলীদের অভিনয় মন জয় করে নিয়েছে। ঠিক ছোটবেলায় গ্রামে যে যাত্রাপালা দেখতাম, তার স্বাদ পেলাম। চমৎকার ছিল যাত্রার কাহিনিও।’
ভৈরবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ পালাটি গড়ে উঠেছে মূলত মুসলমান নবাব সাইফুদ্দিন মুজাফফর শাহ ভাই আজগর আলীর সঙ্গে প্রজা গফুর মিয়ার কন্যা সালমার প্রেমের সম্পর্ক। নবাব সেটা মেনে নেয় না। প্রজার পরিবারকে নির্যাতন করে, প্রজাকে কারাগারে পাঠিয়ে হত্যা করে। পরে নায়ক ও নায়িকাকে কারাগারে রেখে চোখ তুলে নেয় এবং পরিশেষে হত্যা করে। অপরদিকে হিন্দু রাজা আনন্দ রায় হাবশি নবাব সাইফুদ্দিন মুজাফফর শাহর নানা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে হিন্দু রাজার সঙ্গে হাবশি নবাবের যুদ্ধ হয়। হাবশি নবাব পরাজিত হন।
যাত্রাপালাটিতে অভিনয় করেছেন বগা, ইদ্রিস আলী, কালাম হোসেন, হাবিবুর রহমান, সামসুল ইসলাম, লাভলু, বাবলু, হাফিজুল প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর