রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

জুড়ীতে জনসম্মুখে মায়া হরিণকে পিটিয়ে হত্যা।

জালাল উদ্দিন, নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ / ১৬২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে জুড়ী নদীর পাড়ে জনসম্মুখে আসা একটি মায়া হরিণকে লাঠির আঘাতে মেরে ফেলেছে একদল শিশু-কিশোর। প্রাণভয়ে সে পালানোর চেষ্টা করলেও একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে শেষ পর্যন্ত বন্য প্রাণীটি প্রাণ হারায়।
রবিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, সকালে বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ইং, জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যোগীমোড়া এলাকায় জুড়ী নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে যোগীমোড়া এলাকায় একটি মায়া হরিণ দেখতে পায় স্থানীয় কিছু শিশু-কিশোরেরা। এরপর তারা এটিকে ধাওয়া দেওয়া শুরু করে। একসময় হরিণটি ক্লান্ত হয়ে জুড়ী নদীর পাড়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে হরিণটিকে ঘিরে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সেখানেই মারা যায় হরিণটি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে বন বিভাগের স্থানীয় কিছু কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত হরিণটিকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে অবস্থিত প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হরিণটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসকেরা বন্য প্রাণীটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বন বিভাগের লোকজন স্থানীয় পুঁটিছড়া বিটে নিয়ে হরিণটিকে মাটিচাপা দেন।
শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, নদীর পাড়ে মৃত অবস্থায় মায়া হরিণটি পড়ে আছে। সেখানে শিশু-কিশোররা জড়ো হয়ে আছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি শিশু-কিশোরদের বলছে, হরিণরে মারল কিতার লাগি, এইটারে কে মারছে? জবাবে কয়েক শিশুকে বলতে শোনা যায়, আলতার ছেলে দেলোয়ারে মারছে।
এ বিষয়ে বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বলেন, শিশু-কিশোরদের ধাওয়ায় মায়া হরিণটি পাথরে আঘাত পেয়ে মারা যায় বলে তারা প্রথমে খবর পান। পরে জানা যায়, এটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাবারের সন্ধানে মায়া হরিণটি পুঁটিছড়া বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছিল বলে ধারণা করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর