শিরোনাম
So verwenden Sie eine Taschenmuschi: Eine umfassende Anleitung Cómo hacer un bong con una botella de agua sin papel de aluminio Качественная поставка бетона по Краснодару কালিয়াকৈরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান। বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তির দাবীতে ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততায় কালিয়াকৈরে ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ। ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা। নারী বিষয়ক সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী না ধরলে বালিয়াডাঙ্গী থানা ঘেরাও করার ঘোষণা। দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা।
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

রামপালে গুলি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ঃ মুল হোতা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

মল্লিক জামান,রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ / ৪২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদ’র রাইস মিল থেকে ২৫ রাউন্ড শটগান ও এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধারের ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও পুলিশ মাত্র দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। অন্য আসামিদের এখনও পুলিশ প্রশাসন আটক করতে সক্ষম না হওয়ায় জনমনে তীব্র  অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় আবু সাঈদ (৬০)সহ ২১ জনকে আসামি করে বাঁশতলী এলাকায় এস কে আল মামুন(৩৯) নামের এক ব্যক্তি গত (১৮ জানুয়ারি) বাদি হয়ে রামপাল থানায় একটিমা মলা দায়ের করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলো- বাঁশতলী এলাকায় শেখ মোহাম্মদ আলী(৫৮), মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল(৪৬), শেখ নাজিম উদ্দিন(৫২), শেখ কুতুব উদ্দিন(৫৮), শেখ বায়েজীদ হোসেন(৫৫), শেখ মুজিবর(৫৫), মনি শেখ(৪২), শেখ মাতলুব হোসাইন শিহাব(২৯), শিকদার শরিফুল(৫৫), শিকদার জিয়া(৪৬), আল আমিন সরদার(৩৫), শেখ সরোয়ার হোসেন(৪৫), শেখ কামরান হোসেন(৩৮), শেখ সোহাগ(৪৩), শেখ রুবেল(৩৩), দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার  সাংবাদিক মোঃ ইকরামুল হক রাজিব(৩৯), সরদার মিকাইল(৪৩), শেখ মাকসুদুর রহমান(৫৫), হাওলাদার বুলু(৪৫) ও হাওলাদার মিঠুন(৪২)।

ঘটনার দিন রাতে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎক্ষনাৎ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ’র ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাতলুব হোসাইন ও দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র বাগেরহাট জেলার সহ-সভাপতি রাজিবকে আটক করে।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু সাঈদ ও বাকি আসামিরা হাসিনা সরকারের পতনের পর তারা সবাই আত্নগোপনে চলে গেলেও গত ১৭ জানুয়ারি, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তারা এলাকায় প্রবেশ করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য কালীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন আবু সাঈদের সোনালী রাইস মিলের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একত্রিত হতে থাকে। এ খবরে স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও

সাধারণ লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এসময় আবু সাঈদ জনতার দিয়ে উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।এদিকে আত্মগোপনে থেকে আবু সাঈদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে এ

প্রতিবেদককে জানান যে, সরকারের সাথে চাউল সরবরাহের চুক্তি মোতাবেক কিভাবে চাউল সরবরাহ করবো-তা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। আমি গোপন সূত্রে জানতে পারি এলাকার কিছু লোক আমাকে মেরে ফেলার জন্য ও রাইস মিল লুটপাট করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে আমি মিলের প্রধান গেইট বন্ধ করে কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ভেতরে অবস্থান করি। সন্ধ্যার পর আড়াই শতাধিক লোক মিলের প্রধান গেইট ভেঙে ভেতরে আসার চেষ্টা করে। তারা একনাগাড়ে ইট-পাথরের টুকরো নিক্ষেপ করে। তাদের হামলায় মিলের পাশে গবাদি পশুর ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবু সাঈদ আরো জানান যে, আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহল এ নাটক সাজিয়েছে এবং রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করছে।

অন্যদিকে সাংবাদিক রাজিবের স্ত্রী পারুল বেগম এ প্রতিবেদককে জানান যে, আমারস্বামী রাজিব এলাকায় একজন পরিচিত সাংবাদিক। সে জাতীয় দৈনিক অভয়নগরসহ কয়েকটি পত্রিকার সাথে যুক্ত। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র বাগেরহাট জেলার সহ-সভাপতি, বাগেরহাট রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ঘটনার কালীগঞ্জ বাজারে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আমার স্বামী রাজিব পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে উপস্থিত হয় এবং মুঠোফোনে পুলিশ প্রশাসনকে এলাকার পরিস্থিতি জানায়। এরপর পুলিশ আমার স্বামীকে বিষয়টি জানার জন্য থানায় নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তাকে মামলায় ১৭ নম্বর আসামি করে কোর্টে চালান দেয়। কি কারণে তাকে মামলায় দেয়া হলো-বিষয়টি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। তিনি আরো বলেন যে, তাকে মামলায় আসামি করে কোর্টে চালান দেয়ার পর একটি পক্ষ আমাদের বসত বাড়িতে হামলা চালায়, বাড়ির মালামাল লুটপাট করে এবং সেই সাথে ১ লক্ষ ৭ হাজার নগদ টাকাও লুটপাট করে নেয়। আমাদের এখন একটি পক্ষ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্ট চালাচ্ছে এবং আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা আমারজমিনকে জানান, পুলিশ বসে নেই, পুলিশের কাজ পুলিশ করছে। এ মামলার অন্য আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি অন্য আসামিদের আটক করতে সক্ষম হবো বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর