মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৪ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে মসজিদ মার্কেটের দোকানি ও কর্মচারী কলেজ ছাত্রীর সাথে শোভনীয় আচারণ।

সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ / ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।

লক্ষ্মীপুর (চক-বাজার) মসজিদ মার্কেটে নারী ক্রেতাদের সঙ্গে বেশিরভাগ দোকানি ও কর্মচারীদের অশোভনীয় আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদ করায় কলেজ পড়ুয়া ২ দুই ছাত্রীকে জিম্মি করে রাখে ‘লেডিস শপ ও রাহি থ্রি-পিস অ্যান্ড বেবী ফ্যাশন’ নামে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ ও কর্মচারীরা।

সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে পৌর মসজিদ মার্কেটের নিচ তলা ‘লেডিস শপ ও রাহি থ্রি-পিস অ্যান্ড বেবী ফ্যাশনে’ জিম্মি করে রাখার ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে দুই তরুণীর আত্মীয়রা এসে তাদের জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করে।

শিক্ষার্থীরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও পৌরসভার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

দুই তরুণী মসজিদ মার্কেটে জিম্মি রাখার খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক সোলাইমান হোসন নিশান। ওই সময় দোকানি মামুনুর অর-রশিদ ও অপর দোকানদার ইয়াছিন আরাফাত সাংবাদিক নিশানকে নাজেহাল করেন। সাফ বলে দেন, মসজিদ মার্কেটে পুলিশ-সাংবাদিক প্রবেশ করতে হলে তাদের অনুমতি নিতে হবে।

দুই কলেজ শিক্ষার্থী জানান, লেডিস শপে জামাকাপড় দেখতে যান। জামাকাপড় পছন্দ না হওয়ায় তারা দোকান থেকে বের হতে চাইলে দোকানি ও কর্মচারীরা তাদের জোরপূর্বক দোকানের ভেতরে আটকিয়ে রাখে এবং জামা কিনতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে দোকানি ও নারী ক্রেতাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। এক তরুণী তার আত্মীয় বড়-ভাইকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। একই মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে ওই-ভাই এসে দুই তরুণীকে উদ্ধার করে।

মসজিদ মার্কেটে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক নিশান হেনস্তার শিকার এ তথ্য পেয়ে রাত ৮টার দিকে যমুনা টেলিভিশনের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি আনিস কবির ও সময় সংবাদ লক্ষীপুর প্রতিনিধি। সোহেল, একঝাঁক সংবাদকর্মী মসজিদ মার্কেটে বিষয়টি জানার জন্য গেলে, ফের দোকানি ও কর্মচারীরা অশোভনীয় আচরণ করে।

অভিযুক্ত লেডিস শপের স্বত্বাধিকারী ইয়াছিন আরাফাত ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দুই তরুণীকে জিম্মি করে রাখা হয়নি। একটি জামার দাম নির্ধারণ করে তারা নিবে না বলে, তখন তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি।

এদিকে রাহি ‘থ্রি পিস অ্যান্ড বেবী ফ্যাশন’নের স্বত্বাধিকারী মামুনুর অর-রশিদ দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিক নিশানকে আমরা চিনতে পারেনি। সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, খুব শিগগিরই বাজার শৃঙ্খলা ফেরাতে বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর