বিক্ষোভকালে তালা প্রতিকের প্রার্থী বিকাশ চন্দ্র বুনার্জি, বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিকের প্রমোদ গোয়ালা, টিউবওয়েল প্রতিকের প্রার্থী শামিম আহমেদ, বাকলিস বুনার্জি, কৃষ্ণা দাস, শিতাশ্রী শীল বক্তব্য রাখেন।
এসময় তারা বলেন,সকাল-বিকাল কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও ৪ টার পর ভোট গণনার সময় প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজন শৃংখলার কথা বলে পুটিয়া ছড়া কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে এজেন্টদের কিছু না জানিয়ে এসময় কেন্দ্রের দেয়ালে ফুটবল প্রতিকে শিপন বিশ্বাসকে বিজয়ী ঘোষনা করে ফলাফল টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। তারা ফলাফল সীটে কোন এজেন্টের স্বাক্ষর না নিয়ে ব্যালট বাক্স গাড়িতে তুলে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে যায়। তারা অভিযোগ করেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার যোগসাজসে ভোট কারচুপি করে প্রতিদ্ধন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। বিপুল সংখ্যাক ভোট বাতিল দেখানো হয়। এসময় তারা এই ওয়ার্ডের পুন:ভোট গণনার দাবী জানান।
শান্তি গোয়ালা নামে আরেক চা শ্রমিক বলেন, আমরা গরীর চা শ্রমিক। আমাদের তো বিচার শালিস করার ক্ষমতা নাই। আমরা চাই সরকার আমাদের ভোট আমাদের ঠিকঠাক বুঝে দিক।এসময় নির্বাচন বাতিল চেয়ে কয়েক’শ শ্রমিক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থীরা ফল মেনে নিতে পারেন না- তারাই পুন:ভোট গণনার দাবী করে থাকেন। তিনি বলেন, ট্রাইবুন্যালের দারস্থ হওয়া ছাড়া ভোট পুন:গণনার কোন সুযোগ নেই।