বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে অমর একুশে বইমেলার ১০ম দিনের আলোচনা সভা।

মোঃ আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে অমর একুশে বইমেলার ১০ম দিনের আলোচনা সভা।


আজ (০১ মার্চ২২) মঙ্গলবার  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা ২০২২এর ১০ম দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, মরমীবাদ এর ইতিহাস বিশাল, এর মূলতত্ত্ব হচ্ছে শ্রষ্টা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্থাৎ সর্বত্রই বিরাজমান তাঁর অস্তিত্ব সম্পর্কে সাম্যক উপলব্ধি। বিশ্বের প্রত্যেকটি ধর্মে মরমীবাদের চর্চা অদ্যাবধি চলে আসছে। পথ, মত ও পদ্ধতি হয়েতো ভিন্ন, কিন্তু উদ্দেশ্য এক। আর এর প্রভাব বিশ্বের সব ভাষার সাহিত্য বিশেষ করে গান ও কবিতায় অতি উজ্জ্বল ও সুস্পষ্টভাবে বিদ্যমান।

তিনি বলেন, আধ্যত্ম বিজ্ঞানের চরম কথা, আমি কে আমি কেন? বিশ্বের সর্ব ধর্মের সাধকেরা আমি কে প্রশ্ন করে করে মূলে পৌছে দেখেছেন। শ্রষ্টাই সব, আমি তাঁরই আনন্দময় সুন্দর একটি প্রকাশ মাত্র। আমি চেতনা বা আমি চিন্তা থেকে মুক্তি লাভের চেষ্টাই হলো মরমীবাদের মূল উদ্দেশ্য। এজন্য পবিত্র কোরানে বলা হয়েছে ‘মান আরাফ নাফসালু, ফাকাদ আরা আরাফা রাব্বাহু’ অর্থাৎ যে নিজেকে জানতে পারে সে তার প্রভুকে চিনতে পারে। তিনি বলেন, রবীন্দ্র নজরুলের বিভিন্ন কবিতায় মরমীদের প্রভাবও পরিলক্ষিত। বাংলা ভাষায় মরমী সাহিত্যের উপাদান খুঁজতে হলে দৃষ্টি দিতে হবে বাঙালির নাড়ির এসব লোকগাঁথা, বাউল, কীর্তন, জারি-সারির দিকে কেননা এগুলোর মধ্যে গ্রোথিত থাকতে পারে আধ্যত্মি গুঢ়তত্ত্ব যা মরমীদের মূল কথা। বর্তমানে এসব আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সকলকে এদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
বই মেলা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন শাহআলম নীপু’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অমর একুশে বই মেলার আহ্বায়ক ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।
প্রধান বক্তা ছিলেন ডা. সেলিম জাহাঙ্গীর। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা ওয়ার্কর্স পার্টির সভাপতি এড. আবু হানিফ,ড. মাসুম চৌধুরী।
প্রধান বক্তা ড. সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, বাংলা সাহিত্যের আদিপর্ব অর্থাৎ চর্যপদ থেকে আধুনিক কাব্য ও সঙ্গীত প্রবাহের চিন্তার স্পষ্টতায়, ভাষার স্বচ্ছতায় উপলব্ধি গুঢ়তায়, প্রত্যয়ের দৃঢ়তায়- মরমী চেতনা তীক্ষ্ম ও বহুমাত্রিক পাঠক্রিয়ার এক অসাধারণ ব্যতিক্রমী নমুনা।  মরমী সাধকেরা চোখ বন্ধ করে অন্তর্দৃষ্টি ও গভীর চিন্তা-তন্ময়তার দ্বারা সত্য ও সুন্দরকে উপলব্ধি করতে প্রয়াস পান। এই প্রয়াসে মনীষা ও ভাবাবেগের এক প্রকার সংমিশ্রণ ঘটে। এই মিশ্রণের বিচিত্র অনুভূতির প্রকাশ রূপক ও উপমা ছাড়া সম্ভব নয়। এই সহজ তত্ত্বের সহজ উপলদ্ধি একমাত্র বিশুদ্ধ প্রেমের দ্বারাই সম্ভব। মরমীদর্শন-তত্ত্ব নানা প্রকার রূপকের মাধ্যমে আভাসে ইঙ্গিতে ব্যক্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্বাগত বক্তব্যে ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, চট্টগ্রাম বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি। সুফী সাধকেরা এখান থেকে ইসলাম এর প্রচার-প্রসার ঘটিয়েছেন। তাই তাদের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর