বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:৪৭ অপরাহ্ন

শ্রীমঙ্গলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উদযাপিত হচ্ছে লক্ষ্মীপূজা।

জালাল উদ্দিন, নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শারদীয় দুর্গোৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে পূজিত হন দেবীলক্ষ্মী।
শনিবার ২৮ অক্টোবর ২০২৩ইং, রাতে শুরু হবে প্রতিটি ঘরে ঘরে দেবীলক্ষ্মীর আরাধনা। পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসব ঘিরে সকাল থেকেই মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হবিগঞ্জ রোড আখরা মার্কেট প্রাঙ্গণে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা লক্ষ্মী প্রতিমা।
শ্রীমঙ্গলের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, শারদীয় দুর্গোৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীদেবীর পূজা করা হয়। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবীলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠেন বাংলার প্রতিটা সনাতনী পরিবার। এ উপলক্ষে তাদের বাসাবাড়িতে দেবীলক্ষ্মীর প্রতিমা বসিয়ে পূজা করা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এবার প্রতিটি ছোট লক্ষ্মী প্রতিমা ২০০ টাকা, মাঝারি প্রতিমা ৩০০ টাকা ও বড় প্রতিমা ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিমা শিল্পী বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, গত দু’দিন ধরে লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রি করছি। এবার ভক্তরা প্রচুর প্রতিমা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিমা নিতে আসা শ্রীমঙ্গল উপজেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ স্কাউটস শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি ও বেগম রাছুলজান আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমান বর্ধন তিনি বলেন, লক্ষ্মীদেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ে, সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন পূজা গ্রহণ করতে।
সাধারণত ঘরোয়াভাবে লক্ষ্মীপূজা করা হয়, তবে মন্দিরেও হয় বড় পরিসরে হয় না জানিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ভূনবীর দশরথ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ঝলক কান্তি চক্রবর্তী তিনি বলেন, এদিন নারীরা সারাদিন উপবাস করেন। সন্ধ্যার পর পূর্ণিমা তিথিতে পূজা দেওয়ার পর প্রসাদ নিয়ে উপবাস শেষ করবেন। দেবীলক্ষ্মী দ্বিভুজা, প্যাঁচা বাহন এবং শস্যের ভাণ্ডার হাতে থাকে। মঙ্গলঘট ও ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় শোভা পায় চালের গুঁড়া দিয়ে আলপনায় দেবীলক্ষ্মীর ছাপ। লক্ষ্মীর পা আঁকা হয় বাড়ি ও ঘরের প্রবেশপথে। এর সঙ্গে ঘরের আঙ্গিনায় প্রদীপ শিখা জ্বালানো হবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর