Category: জলবায়ূ ও জীববৈচিত্র

  • শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে: তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে: তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল। জেঁকে বসেছে শীত। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
    আজ সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, সকাল ৯টার সময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। কুয়াশা ভেদ করে ঝলমলে রোধ উঠায় শীত কম অনুভূত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কোনো কোনো এলাকায় ম‍ৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
    এদিকে গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি ওঠানামা করছে। রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন শনিবার ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
    শীতের দাপট বেড়েই চলছে এই জনপদে। এতে চা বাগানের চা শ্রমিক ও হাওর এলাকার দিন মজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে বিপাকে। শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে পেটের দায়ে শ্রমিকরা মজুরির আশায় কাজে যাচ্ছে। না হলে চুলায় আগুন জ্বলবে না তাই এমন শীতে জুবুথুবু হয়ে পেটের দায়ে পরিবারের খাবার  যোগাড় করতে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়েছেন। আবার অনেকেই তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না বলে জানা যায়।
    ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ফলে শ্রীমঙ্গল শহরের সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। তাই শীতের কারণে রোজগার কম হচ্ছে ও শীতে বড় বেশি কষ্টে আছে বলে জানান ভ্যান গাড়ি চালক ও রিকশাচালক এবং এলাকার খেটে খাওয়া  দিন মজুর মানুষরা।
  • পাউবোর অবহেলায় তুরাগ নদীর জল পথ মৃতপ্রায়।

    পাউবোর অবহেলায় তুরাগ নদীর জল পথ মৃতপ্রায়।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশের ঢাকা ও গাজীপুর জেলার অংশ নিয়ে তুরাগ নদীর বিস্তৃতি।তুরাগের দৈর্ঘ্য ৬২ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ৮২ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।
    বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক তুরাগ নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ২৫। এটি ঢাকা শহরের সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া ৪টি নদীর মধ্যে ১টি। এই নদীর গভীরতা ১৩.৫ মিটার। নদী অববাহিকার আয়তন প্রায় ১ হাজার ২১ বর্গ কিমি।
    একসময় এই তুরাগ নদীকে ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্যের এক অপার কর্মযজ্ঞ থাকলেও আজ তা প্রায় নেই বললেই চলে।নদীর দুই পাশ অবৈধ দখল,যত্রতত্র মনুষ্য বর্জ্য, শিল্প কারখানার দূষিত পানি ও বর্জ্য মাছে ভরা একসময়কার এ নদীকে আজ করেছে মাছ শুন্য।তুরাগের বিস্তৃত নৌপথ ব্যবহার করে একসময় হাজার হাজার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য থাকলেও আজ সময়ের পরিক্রমায় দূষিত নদীতে জায়গায় জায়গায় পলি জমে নাব্যতা কমে নৌরুটটি হয়েছে পুরোপুরি বন্ধের উপক্রম।
    বিশাল এই নৌরুটের গাজীপুরের কড্ডা থেকে আশুলিয়া বাজার পর্যন্ত নৌরুটের আশুলিয়া বাজার,তৈয়বপুর, নর্থ টাউন,ধনঞ্জয়খালী,কাশিমপুর জেলেপাড়া,মাইমুন টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন জায়গায় ডুবো চরের সৃষ্টি হয়ে পণ্যবাহী নৌযান,বাল্কহেডসমূহ চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে বিপত্তির। এ বছর শুষ্ক মৌসুম শুরুর পর থেকেই বারবার নৌরুটের বিভিন্ন অংশে বাল্কহেড ও পণ্যবাহী নৌযান আটকে থাকার খবর প্রচার হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সাধারণ যাত্রী থেকে নৌযান চালক এমনকি ইজারাদারসহ সকলের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ জানানোর পরও নদীর বুকে জেগে উঠা ডুবোচর গুলোকে ড্রেজিং বা খননের কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি।ফলে এ পথটি এখন বাল্কহেড ও বড় নৌযানের জন্য চলাচলের প্রায় অযোগ্য।অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে যেসব নৌযান এ পথে চলছে তারাও মাঝেমধ্যেই দিনের পর দিন বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকছে।
    এ যেমন গত ৪ দিন ধরে এম.ভি হামিম-২ এবং সাইফুল এন্ড শান্ত নামের দুটি বাল্কহেড আটকে আছে নদীর আশুলিয়া বাজার ও জেলেপাড়া অংশে।৪ দিনে হাজার হাজার টাকা লসে থেকে আফসোসের সুরে বাল্কহেড মাষ্টার আবেদ বললেন,’আমরা এই নদীপথটিতে মাঝেমধ্যেই আটকে যাচ্ছি।আর্থিক ক্ষতির মুখে থেকেও এ পথটি ব্যবহারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।কিন্তু আয়ের অনিশ্চয়তার কারণে গত ৪ দিন আটকে থাকার পর বাল্কহেডের দুজন কর্মচারী চাকুরী ছেড়ে দিতে চাচ্ছে।অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে রেখেছি ওদের।চেষ্টা করছি নদীর এ অংশ থেকে বের হওয়ার।’
    এ বিষয়ে এ নৌরুটের ইজারাদার মৃধা জুয়েল রানা বলেন,’আমার ইজারা নেয়ার শুরু থেকেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।এ সমস্যাগুলোর সমাধান চেয়ে বিআইডব্লিউটিএকে বারবার লিখিতভাবে জানালেও নাব্যতা সংকটসহ অন্যান্য সমস্যাগুলোর সমাধানে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।’
  • বন্যপ্রাণীর মাংস ভাগাভাগির সময় ৪ শিকারী আটক।

    বন্যপ্রাণীর মাংস ভাগাভাগির সময় ৪ শিকারী আটক।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্যশুকর শিকার করে মাংস ভাগ বাটোয়ারা করার সময় ঘটনাস্থলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে চারজন শিকারিকে আটক করে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ।’
    শনিবার (২৫ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা ঘেষা তেলমাছড়া বিটের বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে বন আদালত তথা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করে।’
    মামলার আসামীরা হলেন -স্থানীয় মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের মহাজিল গ্রামের মন্টু বাকতি,রিপন হাজদা,রতন মৃধা ও শুকরাম সাওতাল।’
    বন বিভাগ সূত্র বলছে,ওই আসামীরা দীর্ঘদিন থেকে রঘুনন্দন পাহাড় ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচারের সাথে জড়িত।’ সাম্প্রতি সাতছড়ি উদ্যানে ভালুকের উপরও তারা নজরদারি করছিল।তারা প্রতিনিয়ত ফাঁদ পেতে মায়া হরিণ ও বন্য শুকর শিকার করে মাংস বিক্রি করছে।আটককৃত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অন্যান্য আরো বন্যপ্রাণী শিকারীদের নাম বের করা সম্ভব।’
    স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী বন্যপ্রাণী সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল জানান,একটি সংঘবদ্ধ চক্র রঘুনন্দন পাহাড় ও সাতছড়ি উদ্যানে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার করছে।গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এদের আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়া প্রয়োজন।’
    স্থানীয় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান, ইদানীং সাতছড়ি উদ্যানে ভালুকের অস্তিত্ব পাওয়া যাওয়ায় আমরা টহল জোরদার করেছি।’এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা ৪ জনকে আটক করে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দিয়েছি।আমরা সকলকে বন্যপ্রাণীর শিকারীদের তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
  • শেরপুরে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।

    শেরপুরে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শেরপুরে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলায় উঠেছে নানান প্রজাতির মাছ। পৌষসংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে অন্যান্য মাছের পাশাপাশি মেলায় উঠেছে বড় আকারের বাঘাইড়, বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, কার্প-সহ নানান প্রজাতির মাছ।
    এই মাছের মেলা এখনো এই অঞ্চলে মানুষের ঐতিহ্যের অংশ। মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাছ নিয়ে আসেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এখানে খুচরা ও পাইকারি দরে মাছ বিক্রি হয়।
    মেলায় আসা নানান প্রজাতির মাছ দেখতে মৌলভীবাজার জেলা-সহ হবিগঞ্জ- সিলেট ও দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে প্রচুর পরিমান দর্শনার্থীর সমাগম গঠেছে।
    গতকাল রবিবার রাত থেকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের শেরপুর কুশিয়ারা নদীর পাড়ে এই মেলা বসে। আগামীকাল বুধবার ভোরে শেষ হবে এই মেলা।
    মেলার আশপাশের স্থানীয়রা বলেন, এই মেলা প্রায় ২০০ বছর ধরে পৌষসংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়ে আসছে এই মাছের মেলা। এবারের মেলায় সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছে একটি বিরাট আকারের বাগাড়ের দাম। বিক্রেতা বলতেছেন এই মাছ কিনে নেওয়ার মতো ক্রেতা এখনো পাইনি। এই মাছের দাম শুনে সবাই চলে যায়।
    মেলা উপলক্ষে প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছের আড়তদারেরা মাছ নিয়ে এসেছেন। মজুত করে রাখা হয়েছে ছোট-বড় নানা জাতের মাছ। পাশাপাশি মেলায় বড় বড় দোকানে নানা ধরনের গৃহস্থালি ও বিভিন্ন ধরনের আসবাব, শৌখিন জিনিসপত্র, শিশুদের খেলনা-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়েও বসেছে বিভিন্ন দোকানিরা।
    মেলায় আসা বড় আকারের এক বোয়াল মাছের দাম বিক্রেতা চাইছে ৮৫ হাজার টাকা। অন্য এক বিক্রেতা ৪০ কেজি ওজনের এক কাতলা মাছের দাম চাইছেন ৫৫ হাজার টাকা। আরেক বিক্রেতা কুশিয়ারা নদীর ৪০ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছের দাম হাঁকছেন ৫৫ হাজার টাকা।
    মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, শেরপুর কুশিয়ারা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী এ মাছের মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। মেলায় বিক্রিও হচ্ছে ভালো।
    মাছ বিক্রেতা মোঃ রফিক আলী বলেন, মেলায় নদী ও হাওরের মাছ নিয়ে এসেছেন বিক্রি করার জন্য। ছোট দেশীয় প্রজাতির মাছের দিকে ক্রেতাদের চোখ। মেলায় বিভিন্ন আকারের বোয়াল, রুই, কাতলা, চিতল, মৃগেল, কার্প, বাঘাইড়-সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উঠেছে। প্রচুর পরিমানে মাছের আগমনে দামও অনেকটা কম। কমদামে মাছ কিনতে পেরে মেলায় আসা ক্রেতারাও সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করছেন।
    মেলায় আগত মৎস্য ব্যবসায়ী অদন পাল বলেন, ঐতিহ্যবাহী মেলায় আমরা প্রতিবছর আসি, এখান থেকে পাইকারি মাছ কিনে আমরা স্থানীয় বাজারে মাছ বিক্রি করি।
    হবিগঞ্জ থেকে আগত মৎস্য ব্যবসায়ী সাগর হোসেন বলেন, এই মেলায় আমাদের বাপ-দাদারাও মাছ বিক্রি করেছেন। এখন আমরা মাছ বিক্রি করি।
    সাগর আরও বলেন, আমাদের কাছ থেকে পাইকারি মাছ কিনে মৌলভীবাজার, সিলেট-সহ দেশের বিভিন্ন স্থান পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে মাছ বিক্রি করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে বাগাড়, বোয়াল, আইড়, চিতল, কাতলা, রুই ইত্যাদি মাছ বেশি বিক্রি হয়।
    মেলায় আগত দর্শনার্থী ফরহাদ রেজা বলেন, শেরপুর মাছের মেলায় প্রথম এসেছি। এই মেলায় না আসলে এত বড় বড় মাছ কখনো দেখা হতো না। এই মেলা শত বছর ধরে ঐতিহ্য বহন করে বলেন জানান তিনি।
  • রাণীশংকৈল রামরাই দীঘিতে অতিথি পাখির মেলা, দর্শনার্থীদের ভীড়।

    রাণীশংকৈল রামরাই দীঘিতে অতিথি পাখির মেলা, দর্শনার্থীদের ভীড়।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    শীতপ্রধান দেশ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার অন্যতম প্রাচীন ও সর্ব বৃহৎ রামরাই রাণীসাগর দিঘিতে রং-বেরঙের নানা প্রজাতির অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত এখন পুকুর প্রাঙ্গন। শীত মৌসুমে ভালোবাসার টানে লাখো হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রামরায় দিঘিতে আসে এসব পাখি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
    এসব পাখি দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনই আকর্ষণীয় তাদের খুনসুটি।প্রতিবছর শীত এলেই এসব পাখি এখানে এসে প্রকৃতিতে সাজাই নতুন সাজে।
    পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে।
    প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এখানে। পাখিদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখরিত। পাখি প্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্র’র পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসছেন।
    প্রচন্ড শীতের কারণে সাইবার অঞ্চল থেকে আসা পাখিগুলো সারাদিন রামরাই দীঘি বা রাণীসাগরে আহার করে সন্ধ্যা হলে আসে পাশের জলাশয়গুলোতে আশ্রয় নেয়। সকাল হলেই আবার রাণীসাগরে ফিরে এসে খাবার সংগ্রহ করে।
    উপজেলা শহর থেকে ৪ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। শহর থেকে যে কোন যানবাহনে ১০ থেকে ১৫ টাকা ভাড়া নেয়। যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা। পুকুরটি ১৮.৩৪ একর সু-উচ্চ পাড় ও ২৩.৮২ একর জলভাগ সহ মোট ৪২.২০ একর বিশিষ্ট। পুকুরটির দৈর্ঘ্যে (উত্তর- দক্ষিণ) ৯০০ মিটার ও প্রস্থ (পূর্ব-পশ্চিম) ৪০০ মিটার। এর আয়তন প্রায় ৪২ একর। এর সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি। ধারণা করা হয় দিঘিটি পাঁচশ থেকে হাজার বছরের পুরাতন হতে পারে।
    এক সময় এই দিঘি ছিল এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের পানির চাহিদা পূরণের উৎস। এ দিঘিকে ঘিরে নানা লোককথা শোনা যায়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে রামরাই দিঘির নামকরণ করা হয় রানীসাগর। তবে লোকমুখে এটি রামরাই দিঘি নামেই পরিচিত। এর চারপাশে প্রায় ১২০০ এর অধিক লিচু গাছ সহ অন্যান্য গাছ লাগানো হয়েছে। চারিদিক যেনো সবুজের বিশাল সমারোহ আর দিঘীর টলটল জলরাশি মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।
    প্রতিবছর শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষের দিকে  ও জানুয়ারি মাসের প্রথম দিক প্রধানত উত্তর মরু, ইউরোপ, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, হিমালয়ের পাদদেশ, তিব্বত অঞ্চল থেকে  রামরাই দিঘিতে আসা পাখিদের মধ্যে রয়েছে:  সাদা বক, বালিয়া, পানকৌড়ি, ঘুঘু , সারস, রাতচোরা, গাংচিল, পাতিহাঁস, বুনোহাঁস, খঞ্জনা, ওয়ার্বলার, হাড়গিলা, স্নাইপ বা কাদাখাঁচা, কোকিল সহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন রামরাই দিঘির সৌন্দর্য পাখি প্রেমিক ও পর্যটকদের মন আকৃষ্ট করে।
    সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে অতিথি পাখির দল। সন্ধ্যা নামলেই দিঘীপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। পাখিদের এই মুহুর্মুহু কলতানের টানে প্রতিদিনই দূর দুরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখি প্রেমী পর্যটকরা। পাখিদের আসার মূল কারণ খাদ্য সংগ্রহ।
    মার্চ মাসের শেষের দিকে আপন আপন গন্তব্যে ফিরে যায় এসব পাখি। ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে রামরাই দিঘিকে নান্দনিক রুপ দেওয়ার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিঘির পাড়ের চারদিকে দর্শনার্থীদের বসার জন্য গাল আকৃতির ৩টি ছাতার ছাউনী ও ৫ টি বসার মাচা তৈরি করা হয়েছে। পুরো দিঘির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি নৌকা রয়েছে।
    এছাড়াও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি কাঠের ব্রীজ করা হয়েছে। রামরাই দিঘিটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে দেশের পর্যটন খাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
    সরেজমিনে কথা হয় দিনাজপুরের সেলিনা বেগমের সাথে। তিনি প্রতিবেদককে জানান, শুনেছিলাম রাণীসাগরে অনেক পাখি আসে। তাই দেখতে এসেছিলাম। এখানে এসে মনটা ভরে গেল। পুকুরের চারিদিকের শত শত লিচু গাছ দেখতে বেশ মনোরম। পুকুরের নীচ থেকে পাড়ের দিকে তাকালে মনে হয় আকাশের সাথে মিশে আছে
    স্থানীয় পাখি প্রেমিক শেখ মেহেদী, শহীদুল ইসলাম রকি সহ বেশ কয়েকজন জানান, রামরাই-দিঘি এলাকাটি নির্জন এলাকা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শীতের শুরুতে এখানে দেশি পাখি ছাড়াও অতিথি পাখি এসেছে। এখানে কয়েক মাস থাকার পর শীতের শেষে আবার পাখিরা ফিরে যায় নিজ নিজ দেশে। কিছু পাখি সারা বছরই থাকে এখানে।
    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন,রামরাই দিঘি রাণীশংকৈলের জন্য একটি অহংকার। এটি এই এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে রাখছে। অতিথি পাখিগুলো আমাদের এই রামরাই দীঘিতে প্রতি শীতকালেই আসে।‘রামরাই-দিঘি অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে। রামরাই দীঘির পুরো এলাকা আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে এটি রক্ষণাবেক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে
  • জুড়ীতে জনসম্মুখে মায়া হরিণকে পিটিয়ে হত্যা।

    জুড়ীতে জনসম্মুখে মায়া হরিণকে পিটিয়ে হত্যা।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে জুড়ী নদীর পাড়ে জনসম্মুখে আসা একটি মায়া হরিণকে লাঠির আঘাতে মেরে ফেলেছে একদল শিশু-কিশোর। প্রাণভয়ে সে পালানোর চেষ্টা করলেও একপর্যায়ে লাঠির আঘাতে শেষ পর্যন্ত বন্য প্রাণীটি প্রাণ হারায়।
    রবিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, সকালে বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ইং, জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যোগীমোড়া এলাকায় জুড়ী নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে যোগীমোড়া এলাকায় একটি মায়া হরিণ দেখতে পায় স্থানীয় কিছু শিশু-কিশোরেরা। এরপর তারা এটিকে ধাওয়া দেওয়া শুরু করে। একসময় হরিণটি ক্লান্ত হয়ে জুড়ী নদীর পাড়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে হরিণটিকে ঘিরে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সেখানেই মারা যায় হরিণটি।
    বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে বন বিভাগের স্থানীয় কিছু কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত হরিণটিকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরে অবস্থিত প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হরিণটির মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসকেরা বন্য প্রাণীটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বন বিভাগের লোকজন স্থানীয় পুঁটিছড়া বিটে নিয়ে হরিণটিকে মাটিচাপা দেন।
    শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, নদীর পাড়ে মৃত অবস্থায় মায়া হরিণটি পড়ে আছে। সেখানে শিশু-কিশোররা জড়ো হয়ে আছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি শিশু-কিশোরদের বলছে, হরিণরে মারল কিতার লাগি, এইটারে কে মারছে? জবাবে কয়েক শিশুকে বলতে শোনা যায়, আলতার ছেলে দেলোয়ারে মারছে।
    এ বিষয়ে বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বলেন, শিশু-কিশোরদের ধাওয়ায় মায়া হরিণটি পাথরে আঘাত পেয়ে মারা যায় বলে তারা প্রথমে খবর পান। পরে জানা যায়, এটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাবারের সন্ধানে মায়া হরিণটি পুঁটিছড়া বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছিল বলে ধারণা করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
  • শীত মৌসুমে রস সংগ্রহে-খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছীরা।

    শীত মৌসুমে রস সংগ্রহে-খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছীরা।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হালকা কুয়াশা গ্রাম গঞ্জের মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে শীতের পূর্বাভাস। শীতের পূর্বাভাস দেখেই খেজুরের রস আহরণে গাছ প্রস্তুত করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে উল্লাপাড়ার গাছিড়া। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে খেজুরের রস ঢগ ঢগ করে খাওয়ার স্বাদই আলাদা। এই সুস্বাদু খেজুর রসের বাহার গ্রামাঞ্চলের মানুষ ঐতিহ্য মনে করে বাড়ীর আঙ্গিনায় বা পুকুর পাড় বা রাস্তার ধারে লাগানো খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কেউ করছে সখের বসে,কেউ বা করছে জীবিকার তাগিদে। মিষ্টি রস থেকে অনেকেই তৈরি করছে খেজুরে গুড়। শীত ঘনীভুত হলে সকালে বাড়ির উঠানে রোদে বসে নিজের হাতে তৈরি করা গুড় দিয়ে মুড়ি,ভাপা পিঠা ও দুধের পিঠা তৈরির নবান্ন উৎসবে মেতে উঠে অজোপাড়া গাঁয়ের মানুষ। এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভাবে কউ খেজুর গাছ চাষ করে না।

    গাছিদের নিপুণ হাতে দা আর কোমরে দড়ি বেঁধে গাছ চাঁচাছেলার কাজে রয়েছে আলাদা নিপুণতা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমরে(দড়ি)বেঁধে গাছে ঝুলে রস সংগ্রহের কাজ করে থাকেন।ক’দিন পর থেকে শুরু করবেন রস সংগ্রহের কাজ। প্রতিদিন বিকেলে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বেঁধে রাখবেন।সারা রাত রস ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ে হাড়ি পূর্ণ হবে। গাছিরা সকালে রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে সংসারের চাহিদা মেটায়। কেউবা রস জাল করে খেজুরে বা পাটালি গুড় তৈরি করে থাকেন। আনসিজনে ভালো দামের আশায় গুড় সংরক্ষণ করেন।
    উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের পঞ্চক্রোশী গ্রামের মোক্তার হোসেন নামের গাছি প্রতিবেদককে জানান ক’দিন পর থেকে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বাড়বে এ কারনে খেজুর গাছের আবর্জনা পরিষ্কার ও চাচাছেলার কাজ করছি। পর্যাপ্ত খেজুর গাছ ও রস জাল করার উপকরণ না থাকায় আমরা গুড় তৈরি করে বিক্রি করতে পারি না। রাতে হাড়ি লাগিয়ে ১০/১২ কেজির মতো রস পাওয়া যায়। সকালে বাজারে কাঁচা রস বিক্রি করে চাল ডাল কিনে ছেলে মেয়ে নিয়ে দু’বেলা খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।

    কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা মো.ওয়াজেদ আলী জানান উপজেলায় কোথাও বাণিজ্যিক ভাবে খেজুর বা তালের চাষ হয় না। বিদ্যুৎ চমক থেকে রক্ষার পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু তালগাছ রোপণ করা হলেও খেজুর গাছ রোপন করা হয়নি। প্রকৃতির আদলে জমি,রাস্তা বা বাড়ির আঙ্গিনায় কিছু খেজুর বা তালগাছ জন্ম নেয়। গাছিরা ওই সকল গাছ থেকে শীত মৌসুমে রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে। গ্রামাঞ্চল মানুষের পুরাতন ঐতিহ্য প্রকোপ শীতের সকালে সুমিষ্টি খেজুর রস ও খেজুরে গুড়ের দুধের পিঠা,ভাপা পিঠা,মুড়ি খাওয়ার উৎসব করে থাকে।কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ।

  • দুষ্টু বানর অনেক দিন ধরেই লোকালয়ে কৌশলে উদ্ধার।

    দুষ্টু বানর অনেক দিন ধরেই লোকালয়ে কৌশলে উদ্ধার।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে একটি প্রাপ্তবয়স্ক বানর উদ্ধার করা হয়েছে। বানরটি কয়েক মাস ধরে মানুষের বাসাবাড়িতে ঢুকে ক্ষতিসাধন করত। এ দুষ্টু বানরটি নিয়ে এলাকায় মানুষ আতঙ্কে ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার ১২নভেম্বর ২০২৪ইং, দুপুরে উপজেলার রামনগর মণিপুরিপাড়া এলাকা থেকে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বানরটিকে উদ্ধার করেন, পরে লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যান।
    উপজেলার রামনগর মণিপুরিপাড়া এলাকার বাসিন্দা বর্ণা রানি দেব বলেন, প্রায় দু-তিন মাস দুষ্টু বানরটি এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। প্রায়ই মানুষের ঘরবাড়িতে ঢুকে যায়। মানুষের ঘরের জিনিসপত্র ক্ষতি করে। আমাদের এলাকায় অনেক শিশু আছে। আমরা এই বানরটিকে নিয়ে অনেক আতঙ্কে থাকতাম। আজ সকালে আমাদের বাড়িতে বানরটি ঢুকে গেলে আমরা ঘরের সব দরজা বন্ধ করে বন বিভাগকে জানাই। পরে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন এসে এটি ধরে নিয়ে জান।
    বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, বানর দল বেঁধে থাকে, এটি একটি দলছুট বানর। খাবারের সন্ধানে বন ছেড়ে লোকালয়ে এটি অনেক দিন ধরেই রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
    বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এই বানরটির বিষয়ে জানার পর আমাদের লোকজন সেখানে যান। বানরটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় এটিকে কৌশল করে খাঁচায় খাবার দিয়ে অনেক কষ্ট করে ধরতে হয়েছে। বানরটি সুস্থ অবস্থায় রয়েছে। আমরা বানরটিকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করে দিবেন বলে জানান তিনি।
  • ডিমলায় উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত।

    ডিমলায় উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত।

    নীলফামারীর ডিমলায় উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা ও বুড়িতিস্তার পনি বিপদসীমার ছুঁইছুঁই অবস্থা। এদিকে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা ব্রীজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে।

    শনিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। এতে তিস্তাপাড়ের চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম ডুবেছে আমন ধানের ক্ষেত, সবজী বাগান সহ বিভিন্ন ফসল। এদিকে বুড়িতিস্তার পানি বাড়ায় দুই ধারে আমন ধানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।

    ডালিয়া পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাশেদীন বলেন উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে ব্রীজের সবকটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। যে কোন সময় পানি আরো বাড়তে পারে। ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আব্দুস সবুর বলেন, গত ৪৮ ঘন্টায় উপজেলায় ১৫০ কিলোমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

  • গোয়ালন্দে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত।

    গোয়ালন্দে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত।

    রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উপলক্ষ্যে ফ্রি ভেটেরিনারি ভ্যাক্সিনেশন ও মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে উজানচর ইউনিয়নে এই ফ্রি ভেটেরিনারি ভ্যাক্সিনেশন ও মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।

    এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মো. রাশেদুজ্জামান মিয়া, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা, ইউপি সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

    আয়োজিত এ ক্যাম্পেইন ফ্রি-ভেক্সিন ও কৃমিনাশক ভিটামিন পেয়ে খামারিরা অত্যন্ত খুশি এবং আগামীতে এ ধরনের পোগ্রাম আয়োজন করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তাঁরা।