Tag: টাকা

  • রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভূক্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রায় সত্তর লাখ টাকা লোপাট।

    রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভূক্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রায় সত্তর লাখ টাকা লোপাট।

    শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কবিগুরুর নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, দায়িত্বহীনতা এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালক নিয়োগ থেকে কর্মচারী কর্মকর্তা নিয়োগে অর্থনৈতিক বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, গাড়ি ব্যাবহার না করেও তেলের টাকা লোপাট, মিটিং-সেমিনারের নামে বিরাট বাজেট দিয়ে লুটপাটসহ নানা অনিয়মে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পেড়িয়ে গেলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ না হলেও নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন সাবেক দুই ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তারা। এসমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন খোদ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার। তিনি বলেন, যেখানে হাত দেওয়া হচ্ছে সেখানেই অনিয়ম। আর এসব অনিয়ম দুর্নীতির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা অনেকেই জড়িত। ইতোমধ্যে এসব অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত করতে ১৫টিরও বেশি কমিটি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    এদিকে এতোসব অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশব্যাপী যখন সমালোচনা তুঙ্গে তখনই নতুন করে আরও একটি লুটপাট ও ভাগবাটোয়ারার তথ্য উঠে এসেছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ-এর স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে গুচ্ছভূক্ত ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনের জন্য ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ পর্যন্ত শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য অগ্রীম নেওয়া হয়েছে ৬০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। প্রচলিত আইন অনুযায়ী এই টাকা নেওয়ার দিন থেকে ২মাসের মধ্যে সমন্বয় করে বিল দাখিল করার কথা থাকলেও ২ বছর ৬ মাসেও বিল দাখিল করেনি কর্তৃপক্ষ। এরফলে এই টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে, কার পকেটে ঢুকেছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোয়াসা। বিষয়টি তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি “অভ্যন্তরীন নীরিক্ষা কমিটি” করা হয়েছে। এই নীরিক্ষা কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিলেই কারা এই নয়ছয়ের সাথে জড়িত তা জানা যাবে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

    অপরদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়ার গত ১৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে দেখা যায়, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম গুচ্ছভূক্ত ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনের টাকা থেকে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করেছেন। ঐ চিঠিতে তাকে অতিরিক্ত অর্থ ফেরৎ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

    বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সাবেক চেয়ারম্যান ড. ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি কোন অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করেননি। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তাকে তার সম্মানি দেয়া হয়েছিল। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারনে তিনি বিভাগের চেয়ারম্যান না থাকায় চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়া সম্মানি ফেরৎ দিতে বলা হয়েছে।

    বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়ার কাছে গেলে তিনি চিঠির বিষয়টি স্বীকার করে এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে বিস্তারিত কথা বলতে বলেন।

    বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদারের সাথে কথা হলে তিনি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে চাননি গুচ্ছভূক্ত পরীক্ষা আয়োজনের জন্য অগ্রীম নেওয়া ৬০ লাখ ৮৪ হাজার টাকার বিষয়ে। তবে তিনি বলেছেন, অর্থ গ্রহণের ২ বছর ৬ মাস পেড়িয়ে গেলেও কোন প্রকার সমন্বয় বিল দাখিল করা হয়নি।

    যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী অর্থ গ্রহণের ২ মাসের মধ্যে বিল দাখিল করার কথা থাকলেও আড়াই বছরের বিল দাখিল হয়নি সেক্ষেত্রে এখানে দুর্নীতি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অসংগতি মনে হয়েছে বলেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেইসাথে তদন্ত নিরপেক্ষ করার জন্য ইউজিসি থেকেও এই তদন্তে একজন প্রতিনিধি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি কথা প্রসঙ্গে বলেন, দুর্নীতি, অনিয়ম শুধু একটি নয়, যেখানেই হাত দেওয়া হচ্ছে সেখানেই অনিয়ম, সেখানেই দুর্নীতি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে ১৫টিরও অধিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    উল্লেখ্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ শাহজাদপুরের আপামর জনতা এবং ছাত্র সমাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলন শুরু করার পরেই একের পর এক থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসছে। বেড়িয়ে আসছে ক্যাম্পাস নির্মাণের চেয়ে কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কিভাবে করে তুলেছেন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারখানা।

  • পীরগঞ্জে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা।

    পীরগঞ্জে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক যুবকের  ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃতের পরিবার বলছে, নেশার টাকা না পেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
    আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়া বুড়াধাম মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত যুবকের নাম সেমন্ত রায় (২০)। তিনি মধ্যপাড়া এলাকার মুকুন্দ রায়ের ছেলে।
    উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সনাতন চন্দ্র রায় বলেন, হেমন্ত রায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক আসক্ত ছিলেন। মাদকের টাকার জন্য প্রায় মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। তাঁর পরিবারের লোকজন অনেক চেষ্টা করেও স্বাভাবিক পথে ফেরাতে পারেননি। এর মধ্যে পরিবারের সদস্যদের কাছে নেশা করার টাকা চান তিনি। টাকা না পেয়ে গতকাল বুধবার রাতে নিজ শয়ন কক্ষের বাঁশের আড়ার সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
    পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হয়েছে।
  • মাদক মামলা দিয়ে টাকা নিতেন ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ সাংবাদিককে টাকা অফার।

    মাদক মামলা দিয়ে টাকা নিতেন ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ সাংবাদিককে টাকা অফার।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের পাহাড়। লাভবান হওয়া ছাড়া কোনো অভিযান পরিচালনা করেন না তিনি। অফিসের তিন সদস্যকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন  বলয়।
    তাদের মাধ্যমে নগদ ও অনলাইন পেমেন্টে হাতিয়ে নেন লাখ টাকা। মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসানো, টাকা নিয়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়া, টাকা নিয়েও মামলা দেওয়া, এজাহার থেকে নাম কেটে দেওয়াসহ প্রতি মাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
    জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন ফরহাদ। এর আগে সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত থাকলেও তার বদলির পর নিয়মিত দায়িত্ব পাননি কোনো কর্মকর্তা। পাশের জেলা নীলফামারীর কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলেও নিয়মিত অফিসে আসেন না তিনি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজস্ব বলয় গড়ে অনিয়মের কারখানা তৈরি করেছেন তিনি।
    তেমনি এক ভুক্তভোগী ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের মিলন নগরের বাসিন্দা রঞ্জু। ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। আচমকা তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আকন্দ টিম। ঘটনা না বোঝার আগে কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে সেখান থেকে আটক করে আনা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে করা হয় দুর্ব্যবহার।
    রঞ্জুকে গাড়িতে ওঠানোর পর আড়াই লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন আকন্দ। টাকা দেওয়ার অপারগতা জানালে তাকে নিয়ে চলে যাওয়া হয় অফিসে। তারপরে আকন্দের সহযোগী কনস্টেবল বাধন, খালেক ও ইউনুসের মাধ্যমে শুরু হয় দর কষাকষি। সেখানে ডেকে নেওয়া হয় রঞ্জুর ছোট ভাই শাকিলকে। টাকা দিলে হালকা মামলার প্রস্তাব দেন তারা। দাবি করা হয় ১ লাখ টাকা। ভাইয়ের মাদকের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান শাকিল। তাতেও ক্ষান্ত হননি আকন্দ বলয়। নানা ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে শুরু করেন চাপ।
    পরে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও কনস্টেবল বাধন তার মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আরও ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। টাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন আকন্দ।
    রঞ্জুর ভাই শাকিল বলেন, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে আমি জানতে পারি। পরে তাদের অফিসে গেলে তারা টাকা দাবি করে আমার কাছে। আমরা অনেক গরিব, টাকা কোথায় পাব। অনেক মিনতি করি কিন্তু আকন্দ কোনো কথা শোনে না। পরে আমি কোনোভাবে টাকা ম্যানেজ করে নগদ ৩০ হাজার টাকা দিই ও কনস্টেবল বাধনের নম্বরে ৫ হাজার টাকা দিই।
    ভুক্তভোগী রঞ্জু ইসলাম বলেন, আমাকে শুধু টাকার জন্য ফাঁসানো হয়েছে। এলাকা, পরিবারের কাছে আমার সম্মানহানি করা হলো। আমি তো মাদক ব্যবসায়ী না, তারপরও আমার সঙ্গে অন্যায় করা হলো। আমি এটার বিচার চাই।
    শুধু একটি ঘটনাই না, এমন নানা ঘটনার মূল হোতা ফরহাদ আকন্দ। জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিতেও অর্থ নেন তিনি। কিছুদিন আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সহকারী পরিচালকের সিল ও সই জালিয়াতি করে মামলার চার্জশিট থেকে পুলিশ কনস্টেবল মোশাররফ হোসেনের নাম বাদ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও জেলায় অভিযান পরিচালনাকালে মাদক পেলেও টাকা, না পেলেও টাকা ও বাড়িতে থাকা নগদ অর্থ নিয়ে আসেন তিনি।
    আরেক ভুক্তভোগী লাকি আক্তার বলেন, আকন্দ উনার বাহিনী নিয়ে প্রায় আমার বাসায় রেট দেয়। প্রায়ই তারা আমাদের বাসায় এসে টাকা নিয়ে যায়।
    সব অভিযোগ অস্বীকার করে আনীত অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা আখ্যা দেন ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না স্বীকার করে প্রতিবেদন না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। প্রতিবেদনটি প্রচার না করার জন্য খামে করে প্রতিবেদককে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
    ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা উধাও।

    বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা উধাও।

    বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জে জনতা ব্যাংক বেলকুচি উপজেলা শাখা থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
    এ ঘটনায় জনতা ব্যাংক বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মোঃ নজরুল ইসলাম রোববার রাতে ওই তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন-জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) ও ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম (৩১)।

    মামলায় উল্লেখ করা হয়, রোববার জনতা ব্যাংক তামাই শাখায় অডিট করা হয়। অডিটের সময় ক্যাশ ভল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান টাকাগুলো চুরি হয়েছে।

    বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনিছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলা করেছেন।
    তিনি আরো জানান মামলার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এটি টাকা লেনদের বিষয় হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগপত্রটি দুদকে পাঠানো হয়েছে।

  • মাধবপুরে প্রবাসী স্ত্রী’র টাকা আত্মসাৎ এর পর দ্বিতীয় বিয়ে করলেন স্বামী।

    মাধবপুরে প্রবাসী স্ত্রী’র টাকা আত্মসাৎ এর পর দ্বিতীয় বিয়ে করলেন স্বামী।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক সৌদি প্রবাসী নারীর ছয় বছরের আয়ের সব টাকা আত্মসাৎ করে অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেছে তার স্বামী। বিষয়টি অবগত হয়ে দেশে ফিরে আদালতে মামলা করায় ওই নারীকে মারধর করে গুরুতর আহত করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এব্যাপারে ওই প্রবাসী নারী বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের মো: আবুল বাশার এর কন্যা হালিমা খাতুন (৩০) এর সাথে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মো: সামসুদ্দিন এর পুত্র মো:সবুজ মিয়া(৩৩) বিয়ে হয় প্রায় ১৪ বছর আগে। বিবাহিত জীবনে তাদের মো: রানা মিয়া (১২) নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। বিয়ের পরে সংসারের অভাব অনটন দূর করার আশায় হালিমা খাতুন সৌদি আরবে চলে যায়। সেখানে ৬ বছর কাজ করে সব টাকাপয়সা স্বামীর নিকট পাঠায়।সেই টাকা দিয়ে স্বামী তার বাড়িতে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে। পরবর্তীতে হালিমা খাতুন দেশে ফিরে জানতে পারেন স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছে।
    এব্যাপারে সে আদালতে মামলা করায় গত ১৯ মার্চ সবুজ মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন মিলে তাকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর করে গুরুতর আহত করে।প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
    এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এএসআই আতাউল গণিকে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • রামপালে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতানোর অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৮ সদস্য আটক।

    রামপালে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতানোর অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৮ সদস্য আটক।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনধিঃ বাগেরহাটের  রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের  এক কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে অর্থ  হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ ৭ প্রতারক কে আটক করেছে রামপাল থানা পুলিশ।
    মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার  শ্রীফলতলা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
    আটককৃতরা হলো- উপজেলার  মো. শাহীন শেখ(২২), সুরাইয়া আক্তার টিনা (১৮), মো. রমজান শেখ (১৭), মো. আব্দুল্লাহ শেখ (২০), আসলাম মোল্লা আকাশ (২০), ইমন শেখ (১৭),ফেরদৌস হাসান জয় (১৭),ও  সিয়াম (১৮)। মামলা দায়ের পূর্বক বুধবার বিকেলে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
    পুলিশ জানায়, প্রতারক শাহীন শেখ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কথিত প্রেমিকা টিনাকে সাথে নিয়ে একটি প্রতারক চক্র গড়ে তোলে। তারা ওই নারী সদস্যকে দিয়ে বিভিন্ন লোককে প্রেমের ফাঁদে ফেলতো। এক পর্যায়ে তারা রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করা পাওয়ার মেক লিমিটেড কোম্পানির ম্যানেজার আদিল মাহামুদকে ফাঁদে  ফেলে। গত  ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেয়। ওই সময় তাকে খুলনা মোংলা মহাসড়কের ভেকটমারী বেলাই ব্রীজের কাছে আসতে বলে।
    আদিল মাহামুদ সেখানে গেলে তাকে বেঁধে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে মারপিট করে। এক পর্যায়ে  তার কাছে থাকে নগদ টাকা,  মোটরসাইকেল, এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা আদিলের বাড়িতে ফোন করিয়ে কয়েক দফায় বিকাশ ও রকেট এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ৮০ হাজার টাকার মত হাতিয়ে নেয়। এদিন গভীর রাতে  তাকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ছেড়ে দিয়ে আরও ৬ লক্ষ টাকা দাবী করে। পরাবর্তিতে  গত  ১৬ জানুয়ারী সকাল ৮ টায় আদিল মাহামুদ ফয়লা গিয়ে মাহিন্দ্রা চালককে চিনতে পেরে তার মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করেন।
    রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাস বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আটক প্রতারক চক্র বিভিন্নভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।
    আদিল মাহামুদের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতারক  চক্রের ৮ আটক করা হয়েছে।   তাদেরকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া এই চক্রের ৩-৪ জন পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
    উল্লেখ্য, ছিনতাইকৃত মটর সাইকেলটি আঃরশিদের পুত্র শেরখানের বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
    যাদের বাড়ি থেকে মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের কেউ কেন মামলায় আসামি বা আটক হয়নি, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে রামপাল-মো়ংলার সার্কেল এ.এস.পি
    মুসফিকুর রহমান তুষার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ছিনতাই করে আনা মটর সাইকেল যাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ বা আটক না করায় এলাকা নানা  মুখী গুজ্ঞনের সৃষ্টি হয়েছে।
  • মাধবপুরে একাধিক পুলিশি মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ।

    মাধবপুরে একাধিক পুলিশি মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক সেলুন কর্মচারীকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ধরে থানায় এনে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক এসআই এর বিরুদ্ধে।এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী লস্কর আলী।তিনি ঢাকায় সেলুন কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন।কিছুদিন আগে স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন করানোর প্রয়োজনে বাড়ি এসেছেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বেজুড়ার লস্কর আলী নামে এক ব্যক্তি নতুন বাড়ি থেকে পুরাতন বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তার বন্ধু একই গ্রামের শাহীন মিয়ার সাথে দেখা হয়।দুই বন্ধুর আলাপের মধ্যেই হঠাৎ মাধবপুর থানার একটি পুলিশ ভ্যান এসে থামে।ভ্যান থেকে নেমে এসআই আবু রায়হান দেশের অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে এতো রাতে তারা রাস্তায় কি করছে জানতে চান।এসময় লস্কর আলী জানান, নিজের গ্রামে বন্ধুর সাথে কথা বলার সাথে দেশের অবস্থার সম্পর্ক কি?
    ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই আবু রায়হান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।
    এসময় সাথে থাকা ভ্যানচালক কনস্টেবল মোঃ আলমগীর দুজনের দেহ তল্লাশী শুরু করে পকেটে থাকা সাড়ে ২১ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে এসআই আবু রায়হানের হাতে দেন।এসআই রায়হান লস্কর আলী ও শাহীন মিয়াকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যান।তাদের মোবাইল কেড়ে নেন।থানায় নেওয়ার পর হেরোইন ও গাঁজার মামলায় কোর্টে চালান করার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন রায়হান।চাহিদা মতো টাকা দিলে তাদের ‘নরমাল’ মামলায় পুলিশ ফরোয়ার্ডিং দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়ার আশ্বাস দেন রায়হান। এতো টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই জানালে শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকায় নামেন এসআই আবু রায়হান।পরদিন (২৬ নভেম্বর) সকালে লস্কর আলীর ভাই শওকত মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা অলিদ মিয়াকে ঘটনা জানালে অলিদ মিয়া এসআই রায়হানের সাথে কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান।উপায়ান্তর না দেখে ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা অলিদ মিয়ার হাতে তুলে দেন লস্কর আলীর ভাই শওকত মিয়া। ওই দিন (২৬ নভেম্বর)লস্কর আলী ও শাহীন মিয়াকে ১৫১ ধারায় কোর্টে চালান করে পুলিশ।ওইদিনই জামিন হয় তাদের।
    জামিন পাওয়ার পরদিন (২৭ নভেম্বর) ঘটনা উল্লেখ করে এসআই রায়হানের এমন কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী লস্কর আলী।অলিদ মিয়া জানান,’ লস্কর আলীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে কারো সাথে আমার কোনো কথা হয়নি।এরকম কিছুই আমি জানি না।
    এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার এসআই আবু রায়হান জানান, ‘আমি লস্কর আলী ও অপর একজনকে বেজুড়া থেকে থানায় এনেছি ঠিকই তবে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।
    ওসি রকিবুল ইসলাম খান জানান, এ রকম কিছু আমার জানা নেই তবে কেউ যদি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখবেন।
    ফোন রিসিভ না করায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

     

  • চেকের পাতায় ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা লিখে চেকডিজঅনারের মামলা ।

    চেকের পাতায় ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা লিখে চেকডিজঅনারের মামলা ।

    ১ লাখ ২০ হাজার টাকার চেক জাল করে ১১লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম (২৪) নামে এক দিনমজুরের বিরুদ্ধে।ব্যাংকে ১১ লাখ ২০হাজার টাকা না পেয়ে চেক ডিজঅনার করে আদালতে মামলা করে ওই শ্রমিক। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম ঠাকুরগাঁও ভুল্লী থানার বালিয়া ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী এলাকার মোতালেবের ছেলে। আর ভুক্তভোগী সদরের সালন্দর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা সমারু বর্মণের মেয়ে স্কুল শিক্ষক মমতা রাণী। তবে গত ডিসেম্বরে চেকবই নিখোঁজে সদর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন মমতা রাণী।
    জানা গেছে, মমতা রাণীর স্বামী কালিদাস চলতি বছরের ৬জুন একই এলাকার বজলুর রশিদের ছেলে আল মামুমের কাছে ১লাখ ২০হাজার টাকা হাওলাত নেন। এ সময় কালিদাস তার স্ত্রীর অগ্রণী ব্যাংক মুন্সিহাট শাখা ঠাকুরগাঁও (হিসাব নাম্বার-০২০০০১২০০৪৯৯৪) এর পাতায় ১লাখ ২০ হাজার টাকা অঙ্কে লিখে একটি চেক দেয় তাকে। পরবর্তীতে মামুন তার আত্মীয় রবিউলকে চেকটি দেয়। পরে রবিউল জালিয়াতির মাধ্যমে চেকে ১লাখ ২০হাজারের স্থলে ১১লাখ ২০হাজার ও ৬তারিখের স্থলে ১৬তারিখ বসিয়ে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে যায়। ব্যাংকে ১১লাখ টাকা না থাকায় গত ৮ আগস্ট চেকটি ডিজঅনার করে। কোন নোটিশ ছাড়াই গত ২৫সেপ্টেম্বরে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে বাদী হয়ে মমতা রানীর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা করেন রবিউল।
    ভুক্তভোগী মমতা রাণী বলেন,গতবছরের নভেম্বরে অগ্রণী ব্যাংক মুন্সিহাট শাখা ঠাকুরগাঁও ০২০০০১২০০৪৯৯৪ হিসাব নাম্বারের একটি চেকবই হারিয়ে যায়। পরে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি। একদিন আল মামুন বলল আমার স্বামী তার কাছে ১লাখ ২০হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছে। পরবর্তীতে গত এপ্রিলে স্থানীয় এক পত্রিকা অফিসে কয়েকজনের উপস্থিতিতে ৭০হাজার টাকা মামুনকে দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধের আরো সময় চাই। এরইমধ্যে মামুনের ভাই জনি আমার স্কুলে এসে আমাকে একথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। তারা প্রায় আমাকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। একদিন মামুনের ভাই জনিসহ ১২জন আমার পথরোধ করে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তোলার চেস্টা করে। এ সময় আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এব্যাপারে ভুল্লী থানায় একটি অভিযোগও করেছি আমি।
    তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী পলাতক থাকায় তার সাথে কোন যোগাযোগ হয় না। আমার চেক আল মামুনকে দিয়েছে তাও আমি জানি না। বর্তমানে আমি শিশু সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছি। আমার নামে যে রবিউল মামলা করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট আমি তাকে চিনি না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি বিজ্ঞ আদালতের কাছে।
    অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আল মামুন জানান, মমতা রানীর স্বামী আমার কাছ থেকে ১লাখ ২০হাজার টাকা হাওলাত নেন। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে কয়েক দফায় আমাকে টাকা দেয়। তবে তার স্বামী আমাকে কোন চেক দেয়নি। আমার সাথে স্ট্যাম্পে লেখাপড়া হয়।রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মমতার কাছে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাই। টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি।
    এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ দুলাল উদ্দীন জানান, চেক জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান। তা ছাড়া আমি নতুন। তবে শুনেছি মমতা রাণীকে একদল যুবক আটক করেছিলো। তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
  • প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ।

    প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর নকল করে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলা সদরের আকচা ইউনিয়নের নিমবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে।
    জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষীকান্ত রায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা’র স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক ঠাকুরগাঁও শাখা হতে ১৯১৪২৬৪৯৬৫৫ নং চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
    শুধু চেক জালিয়াতি নয় অভিযোগ রয়েছে বর্তমান কমিটির সদস্যদের সাথে কোন যোগাযোগ ছাড়াই মনগড়া নতুন কমিটি গঠনের।
    এছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে বলা হয় ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে গেল রবিবার (৫ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র গ্রহণ ও মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জমা দিতে হবে। অথচ প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারনে এ বিষয়ে অভিভাবকদের জানানো হয়নি। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক স্কুলের জমাকৃত টাকা আত্মসাৎ করলেও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
    শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,  বিদ্যুত না থাকায় মাসের পর মাস গরমে সীমাহিন কস্ট, অন্ধকারে ক্লাসে অলস সময় কাটানো,মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বন্ধসহ নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে।
    আর স্কুলের সহকারি শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, কাউকে না জানিয়ে স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের জমাকৃত টাকা উত্তোলন করে হজম করেছেন। হয়তো এর আগেও টাকা তুলেছেন যা অজানা। এ ছাড়া নিয়য়মের তোয়াক্কা না করে নতুন কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন তিনি। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
    অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লক্ষীকান্ত রায় টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সভাপতি সাথে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারনেই এসব কথা উঠেছে। আর নিয়ম মেনেই কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বাকি অভিযোগ বানোয়াট বলে দাবি তার।
    বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার আগারওয়ালা জানান, বিদ্যালয়ের ফান্ডে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিলো। প্রতিষ্ঠানের কাজে বেশকিছু টাকা উত্তোলন করার বিষয়টি সবাই অবগত হলেও ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন জাল স্বাক্ষরে। পরে ব্যাংক মারফত জানা যায় প্রধান শিক্ষক টাকা উত্তোলন করেছেন কিন্তু কাউকে হিসেব দেননি। সেই টাকা আত্মসাত করেছেন। যা প্রতারনার সামিল।
    জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আক্তার হোসেন সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, চেক জালিয়াতি ও কমিটি গঠনের অনিয়ম বিষয়ে আমি অবগত নই। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে।
  • বাঘায়  বাদাম ব্যবসায়ীকে  ছুরিকাঘাত করে  টাকা ছিনতাই।

    বাঘায়  বাদাম ব্যবসায়ীকে  ছুরিকাঘাত করে  টাকা ছিনতাই।

    রাজশাহীর বাঘায় দিন-দুপুরে বাদাম ব্যবসায়ী ইসলাম আলীকে ছুরিকাঘাত করে ২ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৯ টায় উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতকাদিরপুর মাদ্রাসার দক্ষিণে এই ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতকাদিরপুর গ্রামের আফছার আলীর ছেলে বাদাম ব্যবসায়ী ইসলাম আলী সকালে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে বাদাম ক্রয়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল ৯ টার দিকে জোতকাদিরপুর মাদ্রাসার দক্ষিণে পৌঁছালে ৩ জন ছিনতাইকারীরা তার পথরোধ করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সে টাকা দিতে না চাইলে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
    এ বিষয়ে ব্যবসায়ী  ইসলাম আলী বলেন, আমি বাদার ক্রয়ের জন্য চকরাজাপুর চরে যাচ্ছিলাম। আমার পথরোধ করে ৩ জন লোক কাছে যা আছে দিয়ে দিতে বলে। আমি দিতে না চাইলে তাদের কাছে থাকা চাকু দিয়ে আঘাত করে কোমরে থাকা ২ লাখ টাকা নিয়ে নেয়।
    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ডা. কামরুল নাহার কান্তা বলেন, চাকু আঘাতে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শঙ্কা মুক্ত তিনি।
    বাঘা থানার পরিদর্শক(ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধী সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।