Tag: টিকা

  • মৌলভীবাজারে এইচপিভি ভাইরাস “সারভারিক্স” টিকার উদ্বোধন।

    মৌলভীবাজারে এইচপিভি ভাইরাস “সারভারিক্স” টিকার উদ্বোধন।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারাদেশের সাথে মৌলভীবাজারে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধক ‘এইচপিভি ভাইরাসের ‘সারভারিক্স  টিকার উদ্বোধন করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ইং, জেলা সিভিল সার্জন কার্যলয়ের আয়োজনে শহরের আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ টিকার উদ্বোধন করা হয়।
    এ সময় সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মামুনুর রহমান’র সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক এসকে মিনাল সিয়াম’র সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন।
    উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বর্নালী দাশ, আলী আমজাদ বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মইনুল ইসলাম, পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ নকিবুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডাঃ রবিউস সানী, ডাঃ মুত্তাকিম, সাংবাদিক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ প্রমূখ।
    এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ১ লাখ ৩ হাজার ৪৯০ জন ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে বলে জানান তারা।
  • গণটিকা কার্যক্রমে চসিকের উদ্যোগে ১৫২টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ টিকা প্রদান।

    গণটিকা কার্যক্রমে চসিকের উদ্যোগে ১৫২টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ টিকা প্রদান।

    গণটিকা কার্যক্রমে চসিকের উদ্যোগে ১৫২টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ টিকা প্রদান।

    সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আজ  ২৬ ফেব্রুয়ার- শনিবার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশান ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করে। চসিক মেয়র মো. রেজউল করিম চৌধুরী লালদীঘি পাড়স্থ অস্থায়ী ক্যাম্পে উপস্থিত থেকে টিকাগ্রহণকারীদের টিকা দানের মধ্যদিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
    নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ১৫২টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লক্ষ টিকা দেয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বেলা ৫টা পর্যন্ত একটানা এই কার্যক্রম চলে। গণটিকার আওতায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২ বছর এবং তদুর্ধ্ব জনসাধারণকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ১২ থেকে ১৭বছর বয়সী শিশুদের ফাইজার টিকা প্রদান করা হয়েছ। অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম কলেজ, রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর হাসপাতাল, জিইসি কনভেনশন হল, অফিসার্স ক্লাব-নেভাল এভিনিউ, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও রোজ গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার আরকান রোডে টিকা দেয়া হয়।
    এম.এ আজিজ স্টেডিময়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্বরে বইমেলা মঞ্চে গণটিকা কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ ও আকাক্সক্ষা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাঁর সহযাত্রী। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যখন তাদের নাগরিকদের প্রয়োজনীয় টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। তখনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের সিংহভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনেন এবং ইতোমধ্যে যারা টিকা গ্রহণ করেনি তাদের টিকার আওতায় আনার জন্যই আজ সারাদেশে গণটিকার আয়োজন করেন। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফলতা।
    পরে বইমেলা মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠনে গান পরিবেশন করেন দেশের খ্যামিতান শিল্পীবৃন্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, বইমেলা কমিটির আহবায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা গবেষনা কেন্দ্রর চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, বইমেলা কমিটির যগ্ম আহবায়ক মো. শাহ আরম নীপু, চসিক উপ-সচিব ও বইমেলার সমন্বয়ক আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, আবু তালেব বেলাল প্রমুখ।
  • রাণীশংকৈলে টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়, মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি।

    রাণীশংকৈলে টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়, মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি।

    করোনার টিকা নিতে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে । রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যালয়ের অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

    গত বৃহস্পতিবার থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এক সঙ্গে অধিক শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসায় এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয় ।

    একই অবস্থা অভিভাবকদের মধ্যেও, স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই, যে যাঁর মতো করে চলছেন। হাসপাতালের সামনেই অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে গাদাগাদি করে একে অপরের সঙ্গে গল্প করছেন তাঁরা।

    শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত ছিল।

    জানা যায়, সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে কেন্দ্রে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে। দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও মুখে মাস্ক নেই। ফলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া টিকাকেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশে হওয়ায় সড়কে দেখা দেয় যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী।

    অভিভাবকেরা জানান, একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিসর বাড়ানো যেত।

    এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক করতে। তবে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরতে অনীহা প্রকাশ করে।

  • বাঘায় পঞ্চম দিনে কভিড-১৯ টিকা পেল ১৭ টি বিদ্যালয়ের ২৩০০ শিক্ষার্থী।

    বাঘায় পঞ্চম দিনে কভিড-১৯ টিকা পেল ১৭ টি বিদ্যালয়ের ২৩০০ শিক্ষার্থী।

    রাজশাহীর বাঘায় উদ্ধোধনের পরে পঞ্চম দিনে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের কভিড-১৯ টিকা প্রদান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারী) উপজেলা বাঘা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এই টিকা প্রদান করা হয়।
    উপজেলা মাধ্যমিক সুপারভাইজার মাহমুদুর রহমান খান জানান, উপজেলায় পঞ্চম দিনে কভিড-১৯ টিকা গ্রহনে ১৭ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করেন। স্কুল গুলো হলো তেঁথুলিয়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়, তেঁথুলিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নওটিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাউসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হরিনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সোনাদহ উচ্চ বিদ্যালয়, পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, তেঁপুকরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ফতেপুর বাউসা উচ্চ বিদ্যালয়, বারখাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, অমরপুর ধন্দহ উচ্চ বিদ্যালয়, আমোদপুর নিম্নমাধ্যামিক বিদ্যালয়, দিঘা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বাউসা হেদাতীপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, তেপুকড়িয়া আড়পাড়া ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, তেঁথুলিয়া পীরগাছা ভোকেশনাল ও বিএম কলেজ, আব্দুর রহমান সরকার বি এম কলেজ।
    টিকা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দীন লাভলু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু রাশেদ আহম্মেদ, কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদ, বাঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী দেওয়ান। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদ জানান, ১৭ টি বিদ্যালয়ের ২৯৯৫ জন শিক্ষার্থী থাকলেও অনেকে ১৮ বছর পার হবার কারণে আগে টিকা গ্রহন করেছে। আবার অনেকে উপস্থিত হয় নি। ফলে ২৯৯৫ জনার কম টিকা গ্রহন করবে।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আহম্মেদ বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার ১৭টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
  • দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত শিক্ষক শশাঙ্ক রায়।

    দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত শিক্ষক শশাঙ্ক রায়।

    প্রায় তিন মাস পর মোংলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের আজিজভাট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শশাঙ্ক রায় (৪৬)।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, মোংলা পৌর শহরের শেহলাবুনিয়ার বাসিন্দা ও আজিজভাট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শশাঙ্ক রায় (৪৬) মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকালে করোনা পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এরপর তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এখন তিনি বাড়ীতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

    এর আগে সর্বশেষ গত ১২ অক্টোবর শাহজালাল পাড়ার সেকেন্দার ফরাজীর করোনা সনাক্ত হয়েছিলো। গত নভেম্বর থেকে সারাদেশেই নতুন করে করোনা প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করেছে। তার নতুন ঢেউ মোংলাতেও লেগেছে।

    এদিকে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবরে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে এনিয়ে আবারো আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারী হাসপাতাল সংলগ্ন কলেজ-হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা আশরাফুল আলম বাবু বলেন, গত তিন চার মাস ধরে আমরা অনেকটা করোনামুক্ত ছিলাম বলা যায়। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ হাসপাতালে একজনের করোনা সনাক্ত হয়েছে, এটা চরম দুশ্চিন্তার বিষয়। এখন তো আমাদের মধ্যে ভয় ও আতংক উভয়ই কাজ করছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন,তিন মাস পর নতুন করে এক শিক্ষকের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এখন থেকে আমাদের সকলকেই কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে, মাস্ক বাধ্যতামুলক পরতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে আর ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজ ব্যবহার করতে হবে। তবে নতুন যিনি সনাক্ত হয়েছেন তার ওমিক্রন ভাইরাস কিনা সেই পরীক্ষা এখানে হয়না। তাই বুঝা যাচ্ছেনা করোনা নাকি ওমিক্রন, তারপরও আমাদের খারাপটা ধরেই অধিক সর্তক হতে হবে। তিনি আরো বলেন,যিনি নতুন সনাক্ত হয়েছেন তিনি পেশায় শিক্ষক। তার ওই বিদ্যালয়ের বাকী সকল শিক্ষক-কর্মচারীদেরকেও আজ বুধবার করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে ডাকা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এনিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তিনিই নিবেন।

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস, এ আনোয়ারুল কুদ্দুস বলেন,শিক্ষক শশাঙ্ক রায়ের (৪৬) করোনা পজেটিভ সনাক্ত হওয়ায় তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে করোনা পরীক্ষা করানো ও বিদ্যালয়টি স্যানিটাইজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন,যে শিক্ষকের করোনা পজেটিভ হয়েছে তার আগে থেকেই দুই ডোজ করোনা টিকা নেয়া রয়েছে। সে এখন বাড়ী সুস্থ আছেন।

  • মাটিরাঙ্গায় এই প্রথম ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের ফাইজার টিকার প্রথম ডোজ প্রদান।

    মাটিরাঙ্গায় এই প্রথম ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের ফাইজার টিকার প্রথম ডোজ প্রদান।

    খাগড়াছড়ির জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এই প্রথম ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মাঝে কোভিড-১৯  টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
    আজ রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে ফাইজারের ১ম ডোজ কোভিড-১৯  টিকা।
    নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে এই টিকা। শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই এই প্রথম মাটিরাঙ্গায় ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিনে মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল মডেল  হাই স্কুল,মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল হাই স্কুল,মাটিরাঙ্গা কলেজিয়েট পপুলার স্কুল, মাটিরাঙ্গা ইসলামিক দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে এই টিকা প্রদান করা হয়।
    আজ প্রথম দিনে ৬৯০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে  এই টিকা প্রদান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো।যার মধ্যে ছাত্র ২৮২ জন ও ছাত্রী ৪০৮ জন টিকা গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত হয়।
    সকালে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে টিকা দান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মোঃ শামসুল হক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ খাইরুল আলম ও যুব রেড ক্রিসেন্ট মাটিরাঙ্গা উপজেলা ইউনিট খাগড়াছড়ি ব্রাঞ্চের সাবেক যুব প্রধান কমল কৃষ্ণ দে ও দলনেতা মোঃ আব্দুল মালেক।
    টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে এসে খাগড়াছড়ি জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ জানায়,শুধুমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ টিকা পাবেন।এসময় যুব রেড ক্রিসেন্ট মাটিরাঙ্গা উপজেলা ইউনিট,খাগড়াছড়ি ব্রাঞ্চের যুব সদস্যদের টিকা কার্যক্রমকে সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সকল যুব সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান।
  • সিরাজগঞ্জে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু ।

    সিরাজগঞ্জে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু ।

    সিরাজগঞ্জে শিক্ষার্থীদের করোনা থেকে ঝুঁকিমুক্ত করতে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুর হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ৭১৭ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এ টিকা দেয়া হচ্ছে।

    বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে জেলা শহরের শিয়ালকোল এলাকায় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের
    এই টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ।

    এ সময় সিভিল সার্জন ডা. রাম পদ রায়,জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফী উল্লাহ,ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোহা. শামসুল হক,প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ,
    উপস্থিত ছিলেন।

    টিকা নিতে আসা এইচএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতী, ফারিহা হোসেন,শাকিল জানিয়েছে, ‘দীর্ঘ দিন পর কলেজ খোলায় আমরা ক্লাশ করতে পারছি। তবে আমরা করোনা নিয়ে আতঙ্কে ছিলাম। এখন আমরা করোনা টিকা নিতে পেয়ে খুশি। এতে আমরা নির্ভয়ে ও নিবিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারবো এবং আমরা করোনা ঝুঁকিমুক্ত থাকবো।’

    সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রভাষক মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল কলেজ বন্ধ ছিলো। করোনার প্রকোপ কমায় স্কুল কলেজ খুলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা করতে করোনা টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ মহৎ উদ্যোগের জন্য সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ টিকা দেয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কায্যক্রম অব্যাহত থাকার পাশাপশি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় থাকবে।’

    জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফী উল্লাহ জানান,সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন সরকারি ও বেসরকারি কলেজের এসএইচসি পরীক্ষা ২০২১ এ অংশগ্রহণ কারী পরীক্ষাদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ সিডিউলে আজ প্রথম দিনে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ৭১৭ জন শিক্ষার্থীদের ফাইজার টিকা দেওয়া হচ্ছে । এছাড়াও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ১৭ নভেম্বর হতে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬২৮৮ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজার টিকা দেওয়া হবে।পরর্বতীতে আরও ৮ টি উপজেলার মোট ২৫৯১৮ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফাইজার টিকা প্রদান করা হবে।

  • বাগাতিপাড়ায় করোনা টিকা গ্রহণ করতে এসে এক বৃদ্ধর মৃত্যু।

    বাগাতিপাড়ায় করোনা টিকা গ্রহণ করতে এসে এক বৃদ্ধর মৃত্যু।

    ফজলুর রহমান, বাগাতিপাড়া(নাটোর)সংবাদদাতাঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় করোনা টিকা গ্রহণ করতে এসে নিজাম উদ্দিন (৭০) নামে এক বৃদ্ধর আকর্ষিক মৃত্যু হয়েছে।বাগাতিপাড়ায় করোনা টিকা গ্রহণ করতে এসে এক বৃদ্ধর মৃত্য

    বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।মৃত নিজাম উদ্দিন উপজেলার গালিমপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত নয়ন আলীর ছেলে।

    হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভ্যাক্সিন এর দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রে এসে লাইনে দাড়ান নিজাম। এ সময় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে তার কাছে থাকা কাগজের ফটোকপি লাগবে জানতে পেয়ে সেটি ফটোকপি করতে যান। হঠাৎ সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন কে মৃত ঘোষণা করেন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরেফিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আকর্ষিকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজাম উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। পরে তার পরিবারের লোকজন এলে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

  • মাধবপুরে করোনা টিকা গ্রহনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচেপড়া ভিড়।

    মাধবপুরে করোনা টিকা গ্রহনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচেপড়া ভিড়।

    নাহিদ মিয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ  করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহনের জন্য হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপচেপড়া ভিড়,উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি।সেখানে ছিল না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা।

    বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়ে চলে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত। এতে প্রায় ১৫৩৫ জন নারী পুরুষ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহন করেন।

    সরজমিনে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে দেখা যায়, টিকা নিতে আসা মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সেখানে ছিল না সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। নারী ও পুরুষের আলাদা দুইটি বুথে দেওয়া হচ্ছে টিকা। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টিকা নিতে আসা মানুষদের সামাজিক দূরত্ব মানানোর চেষ্টা করলেও মানছে না।

    মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইশতিয়াক মামুন বলেন, প্রথম ধাপে শুরুতে নানা ধরনের আশঙ্কার কারণে অনেকেই টিকা নিতে আগ্রহী ছিলেন না এবং সময়মতো টিকা না নিয়ে অনেকেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার পর টিকা নেওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ জন টিকা গ্রহণ করছে। তবে টিকা নিতে আসা মানুষরদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা গ্রহণ করার কথা বললেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা।

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার টিকা বাধ্যতামূলক।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার টিকা বাধ্যতামূলক।

    ডেস্ক নিউজঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

    পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা অধিভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। এখনো যারা টিকা নেননি, তাদের ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করে টিকা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বা ১৮ এর বেশি এবং যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে (২১ সেপ্টেম্বর) জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে এর নিবন্ধিত নম্ব্র এই লিংকে http103.113.200.28student_covidinfo  প্রবেশ করে দিতে হবে।

    সনদপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী যাতে স্থানীয় পর্যায়ে টিকা পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যারা ইতিমধ্যে টিকার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাদের তথ্য অতিসত্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।