সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গত শুক্রবার ,শনিবার ও রবিবার সারাদিনই সুর্যের মুখ দেখা যায় নি। শৈত প্রবাহ ও কনকনে শীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পরেছে উপজেলার মানুষ জন।
গত রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে চলনবিলের তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার। সোমবার সকালে উপজেলার মধ্যে ঘন কুয়াশার কারনে কোন কিছুই চোখে পরে নাই । গ্রামাঞ্চলের মাঠ গুলোতে ইরি-বোরো ধান রোপন করার কারনে মাঠ গুলো পানিতে ভিজিয়ে দেয়ায় কনকনে শীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
পৌর এলাকা সহ গ্রামাঞ্চলে দিনের বেলায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করতে দেখা গেছে শীতার্ত মানুষ গুলোকে। গত ৩দির ধরে রাতে কুয়াশা না থাকলে সকাল থেকে সুর্যের মুখ দেখা না মেলায় কনকনে শীতল বাতাসে নাজেহাল হয়ে পরে মানুষ জন। সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঘন কুয়াশা ঝরার কারনে সব চাইতে বেশী অসুবিধায় পরেছে নিম্ন আয়ের মানুষ জন।
এদিকে হাসপাতলে ঠান্ডা জনিত কারনে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। সরকারী ভাবে ও ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে সামান্য কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরন করা হলে ও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।
তাড়াশ আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহেদুল হাসান জানান, এই আবহাওয়া আরও ২-৩দিন এই ভাবে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।