সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত-ভোরের কণ্ঠ।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বৃ-আঙ্গারু গ্রামে শনিবার ভোরে পূর্ববিরোধের জের ধরে সেলিম ওরফে লালু গ্রুপের সাথে নিজাম উদ্দিন গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

এ হামলা সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের ৫ বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আহতরা হল,আমির আলী(৪৫), রায়হান আলী(২৭), ইউনুস আলী (৫০),মহির উদ্দিন(৩৫),আলাউদ্দিন (২৫),জলিল মন্ডল (৫০),রুহুল প্রামানিক (৫০),আলেপ মন্ডল (৪০),আলো খাতুন (৫৫),আব্দুস সাত্তার (৫০),আব্দুল আজিজ (৩০),আয়নাল মোল্লা (৪৫),আব্দুল আলীম(৩০),আব্দুল্লাহ(২৫),হাওয়া খাতুন (৫০),নিজাম উদ্দিন(৫০), রেজাউল(২৫), আনোয়ার হোসেন(২৫),মানিক প্রামানিক(৩০), খেজের(৫০)। আহতদের শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসির সূত্রে জানা যায়,২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর রোববার সকালে জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নিজাম ও রউফ গ্রুপের সাথে সেলিম ওরফে লালু গ্রুপের বিরোধ নিয়ে সালিশ-বৈঠক চলাকালে দু‘পক্ষের হামলা সংঘর্ষে সোলায়মান প্রামানিকের ছেলে ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল প্রামাণিক (৩০) ফালাবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।

এই আউয়াল হত্যা মামলার আসামী সেলিম ওরফে লালু গ্রুপের লোকজন ১ বছর আগে আদালত থেকে জামিন নিলেও নিজাম ও রউফ গ্রুপের লোকজন এখনও তাদের বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না। এ দিন তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বাড়িতে ওঠার চেষ্টা করে। এ সময় নিজাম ও রউফ গ্রুপের লোকজন বাঁধা দেয়।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সেলিম ওরফে লালু গ্রুপের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে এ হামলা সংঘর্ষ,বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট,ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ২ ঘন্টা ব্যাপী এ হামলা সংঘর্ষ চলাকালে ফালা ও ইটের আঘাতে ২০ জন আহত ও ৫টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *