শিরোনাম
বনগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি হলেন সাংবাদিক আব্দুল্লাহ খিজির। সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সৈয়দ গালিব এর মৃত্যু। তাহিরপুরে খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল । ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার। মাধবপুর উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা সেলিম মিয়া গ্রেফতার। শ্রীমঙ্গলে ভূনবীর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা ও ইফতার মাহফিল। মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামের বিজয় অনিবার্য”পুঠিয়ায় ইফতার মাহফিলে নুরুজ্জামান লিটন। বিএমজিটিএ লক্ষীপুর জেলা কমিটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল। মাধবপুরে ডাকাতির চেষ্টার সময় এক ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার। বিএনপি নেতা গফুর শাহ’র গোয়ালঘর থেকে ১৩টি চোরাই গরু উদ্ধার।
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন

নাটোরের নলডাঙ্গায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য বেতশিল্পের কাজ।

মোঃ ফজলে রাব্বী, নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধি / ৭০১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের তারিখ ও সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১

নাটোরের নলডাঙ্গায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য বেতশিল্পের কাজ। বেতের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি।

এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হলেও এখন বিলুপ্তির পথে এ শিল্পটি।

বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্লাস্টিক সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়া এই কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। তাছাড়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ ও বেত। বাজারগুলো দখল করেছে প্লাস্টিক ও এলুম্যানিয়াম। দেখা মিলে না আর বাঁশ ঝাড়। তাছাড়াও প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষের চোখ প্লাস্টিক সামগ্রীর ওপর।

জানা যায়, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি হতো গৃহস্থালী ও সৌখিন পণ্যসামগ্রী। ঘরের কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবনযাপন। তবে এখনো গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি খোল, চাটাই, খালুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ কদাচিৎ চোখে পড়ে।

যেখানে তালপাতার হাত পাখারই কদর নেই, সেখানে এসব পণ্য পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার! যতই দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই হস্তশিল্পের চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধি, বাঁশ-বেতের দুষ্প্রাপ্যতা আর অন্যদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে।

উপজেলার মাধনগরে বেত শিল্প বিক্রি করতে আসা দুলাল দাস(৫৯) বলেন, ২০ বছর থেকে আমি এই কাজের সাথে জড়িত। বেত শিল্পের দুর্দিনে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পরিবার বেতশিল্পকে আঁকড়ে ধরে আছেন। অনেকে এ পেশা বদলে অন্যপেশায় গেলেও পূর্বপুরুষের হাতেখড়ি পেশাকে কিছুতেই ছাড়তে পারেননি তারা। তাদের তৈরি কিছু পণ্য গ্রাম-গঞ্জে নিয়ে ঘোরাফেরা করলে কিছু সৌখিন মানুষরা তাদের পণ্য কিনেন। বেলা শেষে যা বিক্রি হয় তা দিয়ে তয়-তরকারি কিনে বাড়ি ফেরেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর