টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কিশোর গ্যাং এর হাতে কর্মকার (স্বর্ণ ব্যবসায়ী) সহ ২ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার সহবতপুর স্কুল মাঠের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত কর্মকার সহবতপুর গ্রামের বাদল কর্মকারের ছেলে বিপ্লব কর্মকার (৪৮) ও তার ছেলে শুভ কর্মকার (২৪)।
এলাকা বাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে বিল্পব কর্মকার সহবতপুর বাজারে স্বর্ণ ব্যবসা করে আসে। বিল্পব প্রতি দিন ক্যাশ টাকা ও দোকানের মালামাল নিয়ে রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার রাতে সহবতপুর স্কুল মাঠের রাস্তায় পৌছালে ৪/৫ দলবদ্ধ কিশোর গ্যাং ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হামলা করে। কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা তাদের টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়া জন্য ধস্তাধস্তি করে।
ঘটনার সময় কিশোররা বিল্পব কর্মকারের স্বর্ণের বিদেশী চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বিল্পবের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কিশোর গ্যাং এর মুলহোতাকে আটক করে।
আটক কৃত কিশোর হলো সহবতপুর ইউনিয়নের সলিল গ্রামের ঠান্ডু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন (১৬)। বাকী কিশোররা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের পরিচয় গোপন করে যাচ্ছে মাতাব্বররা। বাবাকে বাঁচাতে এসে ছেলে শুভ সহ বিল্পব কর্মকার কিশোর গ্যাং এর আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়। আহত বিল্পব ও শুভ কে লোকজন রাতেই নাগরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিল্পব কর্মকার বলেন, আমি রাতে বাড়ি ফিরার সময় স্কুলের কনারে অন্ধকারে আসলে ৪/৫ জন কিশোর আমার কাছ থেকে টাকা ও স্বর্ণের জিনিষ কেড়ে নেবার চেষ্টা করে। আমি বাঁধা দিলে তারা আমাকে আঘাত করে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন বেড়িয়ে আসে এবং একজনকে ধরে ফেলে।
সহবতপুর ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই রাতের ঘটনায় এক কিশোর কে এলাকা বাসী আটক করে। পরে আটক কৃত কিশোরের অভিভাবক গণ ও ফালু মাতাব্বর আসলে বিচারের আশ্বাস দিয়ে মুছলেখার মাধ্যমে আমরা তাকে নিয়ে আসি।
এলাকার সূধী জনরা বলেন, এ কিশোর গ্যাং মাদক সহ এলাকায় ছোট বড় বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের দৌরাত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে। এরা যে কোন সময় বড় ধরনের অপরাধ করতে পারে।