শিরোনাম
দুর্গাপুরে বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা। Slot Scatter Hitam: Apa yang Membuatnya Menjadi Pilihan Utama Para Pemain? কমলগঞ্জে বর্ণীলসাজে মণিপুরীদের ঐতিহ্যগত “লাই-হরাউবা” উৎসব। কালিয়াকৈরে ফুটওভার ব্রিজে লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় ডাকাতির আতংকে পথচারী। A cosa dovremmo prestare attenzione quando utilizziamo i giocattoli anali? কুকুরের আক্রমণ থেকে বিপন্ন লজ্জাবতী বানর উদ্ধার। অপহরণের ৫ বছর পর বাবা–মায়ের কাছে ফিরল স্কুলছাত্র সামাউন। কালিয়াকৈরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবসহ দুই শিক্ষককে অব্যাহতি। শ্রীমঙ্গলের সেন্ট যোসেফ গীর্জায় উৎসবমুখর পরিবেশে “ইষ্টার সানডে”পালিত। টিকটকে পরিচয়ে বিয়ে করা স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যাওয়া স্বামীর খোঁজে মৌলভীবাজারে তরুণী।
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

রামপালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি পণ্য : স্বাস্থ্য ঝুকিতে লক্ষাধিক মানুষ।

মল্লিক জামান,রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ / ৩২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

রামপাল(বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের রামপালের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি অনুমোদন ছাড়া যত্রতত্র গড়ে উঠেছে একাধিক বেকারি ও
মিষ্টি তৈরির প্রতিষ্ঠান। এসবের অধিকাংশ কারখানায় পরিবেশের ছাড়পত্র ও বিএসটিআইর’র কোনো অনুমোদন
নেই। স্থানীয় চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে কিছুটাকার মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ঐ সব প্রতিষ্ঠান চালানো
হচ্ছে। এখাতে সরকার বছরে হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। এছাড়া তদারকিনা থাকার কারণে নিম্ন মানের
পন্য ব্যবহার করায় উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ রয়েছে চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগেরহাটের পেড়িখালিতে রয়েছে তিনটি বেকারি। সে গুলো হলো
লোখনাথ বেকারী, প্রোপ্রইটার সঞ্চায় সাহা, ভাই ভাই বেকারী, প্রোঃ বিধান সাহা, থ্রি স্টার বেকারি, প্রোঃ- মজিদ সেখ। রামপাল সদরে রয়েছে ইসলাম বেকারী-প্রোঃ-শহিদুল কালাম, ফয়লাতে -মিতালী বেকারি, প্রোঃ
আব্দুল্লাহ , বিসমিল্লাহ বেকারি- প্রোঃ-এয়াকুব আলী, টুস্টার । রামপালের গেীরম্ভাতে রয়েছে কামরুল
ইসলামের বেকারিসহ একাধিক অবৈধ মিষ্টি ও বেকারীর কারখানা ।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে মানহীন বাহারি খাদ্যপণ্য। এসব খাবার
খেয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। স্থানীয়রা বলেন, অনুমোদন ছাড়াই বেকারিতে নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের মোড়কে পেটিস, কেক, বিস্কুট, পাউরুটিসহ মুখরোচক নানা খাবার তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে।
বেকারিতে সরেজমিনে দেখা যায়, খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত জিনিসগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এদিক-ওদিক। তাদের
ঘাম ঝরে পড়ছে খাবারের ওপর। আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করার কড়াইগুলোও অপরিষ্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে
তৈরি করা হচ্ছে ক্রিম। আর তার পাত্রগুলোতে ভন ভন করছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি। কয়েক দিনের পুরোনো তেলেই
ভাজা হচ্ছে খাবার। ময়লা হাতেই প্যাকেট করার দৃশ্য দেখা যায়। ৫২ বছরের বাবুবলেন, এইসব বেকারিতে
প্রকাশ্যে শিশুরা কাজ করছে। অল্প বয়সী কিছুশিশুদিয়ে দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করানো হচ্ছে। আসলে
এটা একটা মারাত্মক মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে। ঐ সব দৃশ্য কি স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ও প্রশাসনের
দৃষ্টি গোচরে পড়ে না? কয়েকটির বেকারির কয়েকজন ম্যানাজাররা জানান যে, উপজেলা স্যানিটারি র্কমর্কতাকে
মাসিক মাসোহারা দিতে হয়। সাংবাদিকদের লেখায় কি হবে। অনেকবার লিখেছেন, আমাদের বেকারি কি বন্ধ হয়ে
গেছে। না হয় ওদেরকে টাকার মাত্রা একটুবাড়াতে হবে। ভাই ভাই বেকারী নামে একটি কারখানা যা কোনরুপ
সরকারি অনুমোদন ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি হচ্ছে।
এ সবের দায়িত্ব থাকা উপজেলা স্যানিটরি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য র্কমর্কতাকে
মোবাইলে একাধিকবার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যাপারে স্থানীয়দের
অভিযোগ, ঐ সব প্রতিষ্ঠান থেকে তারা নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের র্নিবাহী
ম্যাজিস্ট্রেট এই সমস্ত কারখানার ব্যাপারে র্সতক করলেও এখনো অবৈধ র্কাযক্রম বন্ধ হয়নি। শিশু-কিশোর
শ্রমিক দিয়ে বেকারি পণ্য উ পাদন ও বিপণন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স’র একজন ডাক্তার নাম না প্রকাশ করার র্শতে বলেন যে, সাধারণ লোকজন বেকারির নিম্নমানের
খাবার খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে শিশু-কিশোররা।
ক্ষতিকারক নিষিদ্ধ কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি বেকারির পণ্য খেলে ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর